১৪ ফেব্রুয়ারি গরুকে ভালবাসার দিন, বললেন মন্ত্রী। —প্রতীকী চিত্র।
‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে গরুকে জড়িয়ে নিজস্বী তুলুন— এই মর্মে আবেদন জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেও শেষ মুহূর্তে তা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের অধীনস্থ পশুকল্যাণ পরিষদ। তবে গো-মাতাকে নিয়ে এই অবস্থান থেকে নড়ছেন না উত্তরপ্রদেশের পশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ধর্মপাল সিংহ। তিনি আবার আরও এক পা এগিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার প্রেম দিবসে গো-পুজো করতে বলেছেন। যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার ওই সদস্যের আবেদন, ওই দিন গরুকে গুড়-রুটি দিয়ে পুজো দিন সবাই।
উত্তরপ্রদেশের ওই মন্ত্রীর কথায়, ‘‘১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে গো আলিঙ্গন দিবস হিসাবে পালন করুন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে ভালবাসার দিন বলে পরিচিত। ওই দিন গো-ভক্তির এবং গরুকে ভালবাসার পরিচয় দিন তাঁকে গুড় আর রুটি দিয়ে।’’ মন্ত্রী ধর্মপালের সংযুক্তি, ‘‘গুড়-রুটি দিয়ে গরুর পায়ে হাত ঠেকিয়ে প্রণাম করুন। কারণ, গরু বিশ্বমাতা। তাই ভালবাসার দিনে অঙ্গীকার হোক তাঁকে ভালবাসা এবং সেবা করার।’’
উত্তরপ্রদেশের ওই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় সমাজে প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত জিনিসপত্র ব্যবহারের রেওয়াজ রয়েছে। তাই শুধু ধর্মীয় বা আবেগের কারণেই নয়, মানব সমাজে গরুর প্রভূত প্রয়োজনের জন্য তার দেখভাল করা উচিত।’’ মন্ত্রীর এ-ও আবেদন, হোলিকা দহনের সময় ঘুঁটে ব্যবহার হোক। এতে পরিবেশ ভাল থেকে। বায়ুদূষণও হয় না।
অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও মন্ত্রী এরকম আবেদন করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে সনাতনী সংস্কৃতি চাপা পড়ে যাচ্ছে।