বোনকে আগুনে পুড়ে মরতে বাধ্য করলেন দাদা! প্রতীকী চিত্র।
প্রথমে পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুন দিতে বোনকে জোরাজুরি। বোন যখন আগুনে পুড়ছে, তখন সামনে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন দাদা! সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি ভিডিয়োয় তোলপাড় হল উত্তরপ্রদেশ।
রবিবার শাহজাহানপুর জেলার এই ঘটনায় আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ৩১ বছর বয়সি সরোজ যাদব। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাড়ার একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় সরোজের বাবা, মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই ঘটনার পরেই দাদা সঞ্জীব প্রকাশ্যে বোনকে গায়ে আগুন দিতে বাধ্য করেন। সেই মতো সরোজও গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেন। সেই সময় বোনকে না বাঁচিয়ে তাঁর আগুনে পোড়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করারও অভিযোগ উঠেছে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে।
পড়শিদের দাবি, একই পাড়ার বাসিন্দা পবন গুপ্তের পরিবারের সঙ্গে সরোজদের পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। রবিবার এই পবনের স্ত্রী প্রতীক্ষা পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। অভিযোগ, স্ত্রীর জয়ের পরেই সরোজদের হুমকি দেন পবন। তা নিয়ে ঝামেলা জড়িয়ে পড়ে দুই পরিবার। পবনের সঙ্গে তুমুল বাক্বিতণ্ডাও হয় সরোজের মা ঊর্মিলার। ঊর্মিলা বলেন, ‘‘পবনের কথাতেই পুলিশ আমাকে আর আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। মেয়ে এতে রেগে গিয়ে আগুনে পুড়ে মরার চেষ্টা করে।’’
এই ঘটনায় পুলিশের একাংশের দাবি, দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই বিবাদ ছিল। হতে পারে, পবনকে ফাঁসাতে চেয়েই বোনকে আগুন পুড়ে মরতে বাধ্য করেছেন দাদা। শাহজাহানপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) এস আনন্দ বলেন, ‘‘সরোজের গলা থেকে কোমর পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা জানতে পেরেছি, দাদাই নাকি বোনকে পেট্রল এনে দিয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দাদাই বোনকে আগুন দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল। গোটা ঘটনায় পবন গুপ্তের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’