—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শ্যালকের বিয়েতে সেজেগুজে যাবেন বলে নতুন জুতো কিনেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি। কিন্তু বিয়ের দিন সেই জুতো পরতে গিয়ে বছর পঁচান্নর ওই ব্যক্তি খেয়াল করেন যে, জুতোটাই ছেঁড়া। তার পর তিনি বিয়েবাড়ি তো যেতেই পারেননি, উল্টে মানসিক ভাবে এতটাই নাকি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন যে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তার পরই জুতো বিক্রেতাকে আইনি নোটিস দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান পেশায় আইনজীবী ওই ব্যক্তি। জুতো বিক্রেতার অবশ্য দাবি, তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন ওই ব্যক্তি।
উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা জ্ঞানেন্দ্রভান ত্রিপাঠী গত ২১ নভেম্বর স্থানীয় জুতো বিক্রেতা সলমন হুসেনের কাছ থেকে এক জোড়া জুতো কেনেন। জ্ঞানেন্দ্রের দাবি, সলমন তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, বিখ্যাত সংস্থার তৈরি জুতো সহজে ছিঁড়বে না। তার পর কিছু দিন বাক্সয় ভরাই ছিল সেই জুতো। সম্প্রতি সেই জুতো পরতে গিয়ে জ্ঞানেন্দ্র দেখেন সেটি ছেঁড়া। তিনি অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন। শ্যালকের বিয়েতে নতুন জুতো পরে যেতে পারবেন না, এমনটা বুঝতে পেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে কানপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
আইনি নোটিসে জুতো বিক্রেতা সলমনের কাছ থেকে প্রায় ১৩ হাজার টাকা দাবি করেছেন জ্ঞানেন্দ্র। এই টাকার মধ্যে তাঁর চিকিৎসার খরচ, জুতো কেনার খরচও ধরা আছে বলে জানিয়েছেন জ্ঞানেন্দ্র। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সলমনের দাবি, কেনার সময় তিনি কখনওই বলেননি যে, জুতোটা বড় সংস্থার তৈরি। তাঁর আরও দাবি, ৫০ শতাংশ ছাড়ে জ্ঞানেন্দ্র যে জুতো কিনেছিলেন, তা ছিঁড়বে না, এমন কোনও নিশ্চয়তাও তিনি দেননি।