চার বছর পর মাটি খুঁড়ে বার করা হল যুবকের দেহ। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু বিচ্ছেদ চাননি প্রেমিক। আর সে কারণেই প্রেমিককে খুন করে নিজের ঘরে দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু অপরাধবোধে ভুগছিলেন অভিযুক্ত। তাই চার বছর পর প্রেমিকের ভাইয়ের কাছে খুনের কথা স্বীকার করলেন ওই যুবক। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৭ বছর বয়সি সলমন আহমেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল ২৬ বছর বয়সি মহম্মদ হাসানের। তাঁদের মধ্যে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হাসানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন সলমন। রাজি হননি হাসান। আর সে কারণেই হাসানকে খুন করেন সলমন। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাসানকে বাড়িতে ডেকে তলোয়ার দিয়ে তাঁকে হত্যার পর বাড়ির মেঝেয় পুঁতে দেন সলমন। চার বছর আগে এই ঘটনা ঘটে।
হাসান যে খুন হয়েছেন, তা তাঁর পরিবার জানত না। সে দিনের পর থেকে হাসানের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সম্প্রতি গ্রামে হাসানের ভাই সালিমের সঙ্গে দেখা হয় সলমনের। সেখানেই হাসানকে খুনের কথা তাঁর ভাইকে জানান সলমন। এই প্রসঙ্গে হাসানের ভাই সালিম এক ইংরাজি দৈনিককে বলেন, ‘‘সলমন আমায় আচমকাই জিজ্ঞাসা করে যে, আমার দাদাকে এখনও আমরা খুঁজছি কি না। যখন হ্যাঁ বলি, তখন ও জানায় যে, হাসান আর বেঁচে নেই। তার পর ও বলে যে, হাসানকে মেরে ওর ঘরে পুঁতে রেখেছে।’’
এই কথায় প্রথমে বিশ্বাস করেননি সালিম। পরে সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট করেন সলমন। তার পরই শনিবার গ্রামবাসীদের নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান হাসানের ভাই। সেখানে মাটি খুঁড়তেই পাওয়া যায় হাসানের দেহ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সলমনকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন ওই যুবক।