আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। ছবি: সংগৃহীত।
কত পাঠাচ্ছেন? ফোনের ও পার থেকে প্রশ্ন এল ব্যবসায়ীর কাছে। ব্যবসায়ীর জবাব, “স্যর, ১০ বা ২০ লক্ষ। এক সঙ্গে এত টাকা তুললে সন্দেহ হতে পারে!”
ফোনের ও পার থেকে আবার জবাব এল, “মিনিমাম ২০ পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। বাকিটা কী ভাবে পাঠাবেন সেই পদ্ধতি বলে দেব।” তার পরই ভিডিয়োটি বন্ধ হয়ে যায়। এমনই একটি ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার হয়েছে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
রাজ্য সরকারকে এই ‘দুর্নীতি’ নিয়ে আক্রমণ করেছেন অখিলেশ। এসপি প্রধান প্রশ্ন তুলেছেন, “এ বার কি তা হলে বুলডোজ়ারের চাকা ঘুরবে এই আইপিএসের দিকে? না কি এ বারও পলাতক বলে মামলা চেপে দেওয়া হবে? উত্তরপ্রদেশের মানুষ দেখছেন, অপরাধের প্রতি বিজেপি সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’-এর মিথ্যাচার!’’
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি ফোন ধরে আছেন এক ব্যক্তি । সেই ফোনে ভিডিয়ো কল হচ্ছিল। ভিডিয়ো কলে ফোনের ও পারে যাঁকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের আইপিএস আধিকারিক অনিরুদ্ধ সিংহের মতো দেখতে। যাঁকে ফোন করা হয়েছে তিনি এক জন ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই বারাণসীর পুলিশ কমিশনার তিন দিনের মধ্যে এই ঘনটার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভিডিয়োটি নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, মেরঠ পুলিশ টুইট করে দাবি করে, “এটি ২ বছর আগের ভিডিয়ো। এর সঙ্গে মেরঠের কোনও যোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্তও করা হয়েছিল। তা শেষও হয়ে গিয়েছে।”
অনিরুদ্ধ সিংহের ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি যখন রাজনীতি সরগরম হতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ময়দানে নামেন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি। তিনি বলেন, “আইপিএস অনিরুদ্ধ সিংহের একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিয়ো কলে তাঁকে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিয়োর ভিত্তিতে সিংহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন ভিডিয়োটি পুরনো হলেও এই ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বারাণসীর পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে অভিযুক্ত আইপিএসের পোস্টিং-সহ যাবতীয় তথ্য তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।