তেলের জাহাজ প্রতীকী ছবি।
নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল থেকে তৈরি জ্বালানি ভারত মারফত আমেরিকায় ঢুকছে। ভারতকে ব্যবহার করে রুশ অপরিশোধিত তেলের উৎস লুকিয়ে তা নিউ ইয়র্কের বন্দরে পাঠানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। শনিবার এমনটাই জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক কর্তা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে মস্কোর ‘বিশেষ সেনা অভিযান’ শুরু হওয়ায় পর রুশ তেল এবং সেই তেল থেকে তৈরি যে কোনও ধরনের জ্বালানি আমদানির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। ‘রুশ-আগ্রাসন’-এর প্রশ্নে ভারত অবশ্য আমেরিকার পথে হাঁটেনি। শুরু থেকেই ‘মাঝামাঝি’ অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু ওয়াশিংটনের অবস্থান জানার পরেও ভারতীয় জাহাজ কী ভাবে রুশ তেল নিয়ে নিউ ইয়র্কের বন্দরে পৌঁছল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র জানান, আমেরিকার অর্থ দফতরের তরফে ভারতকে বলা হয়েছে, একটি ভারতীয় জাহাজ সম্প্রতি রুশ তেল সংগ্রহ করে গুজরাতের এক বন্দরে এসে থামে। সেখানে ওই তেল পরিশোধন করে আবার তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আমেরিকার এই দাবির প্রেক্ষিতে পাত্র বলেন, ‘‘ওই পরিশোধিত তেল নিয়ে গুজরা্তের বন্দর ছাড়ার সময় সংশ্লিষ্ট জাহাজটির নির্দিষ্ট কোনও গন্তব্য ছিল না। মাঝসমুদ্রেই গন্তব্য স্থির হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী তা নিউহয়র্কের বন্দরে গিয়ে পৌঁছেছে।’’ তবে জাহাজটির নাম এবং পরিশোধনাগারের নাম প্রকাশ্যে আনেননি পাত্র।
বিশ্বে সব চেয়ে বেশি তেল আমদানি করা দেশগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে ভারত। কিন্তু রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ‘পরম্পরা’ ভারতের ক্ষেত্রে সে ভাবে কখনওই দেখা যায়নি। কিন্তু রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমী বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার পর ভারতকে বিশেষ ছাড়ে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করেছে রাশিয়া। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি প্রসঙ্গে পাত্র বলেন, ‘‘যুদ্ধে অদ্ভুত ভাবে পরিস্থিতি বদলায়।’’