দিল্লি পৌঁছলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: পিটিআই।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জে বাইডেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’। বাইডেনকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন, অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভিকে সিংহ।
নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে শনিবার সকালে। তার আগেই শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মোদীর ৭ লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে যোগ দেবেন নৈশভোজে। আগামী দু’দিন দিল্লির আইটিসি মৌর্য শেরাটনে বিশেষ প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে থাকবেন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা। বাইডেন এবং তাঁর প্রতিনিধি দলের জন্য হোটেলের প্রায় ৪০০টি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রী জিল বাইডেনের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নয়াদিল্লি আসার ‘সম্ভাবনা’ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান পত্রপাঠ জানিয়ে দেন, বাইডেন কোভিড নেগেটিভ। তাই তিনি দিল্লিতে আসছেন।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল)-এর সঙ্গে আমেরিকার ওয়াশিংটন হাউস ইলেকট্রিক কোম্পানি (ডব্লিউইসি) মধ্যে যে নতুন ছ’টি পরমাণু চুল্লি গড়ার বিষয়টি নিয়ে যে দীর্ঘ দরকষাকষি চলছে, মোদী-বাইডেন বৈঠকে তা ইতিবাচক গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের কোভাড়ায় ১১০০ মেগাওয়াট করে শক্তিসম্পন্ন ছ’টি চুল্লি বসার কথা রয়েছে। ২০০৮ সালের অক্টোবরে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি সই হলেও ভারতে ডব্লিউইসি-র পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে, ২০১০ সালে অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলটি পাশ হওয়ার পর।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, মোদী-বাইডেন আলোচনায় উঠে আসবে ভারতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট আমদানিতে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ। গত মাসে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়, শুধুমাত্র বৈধ লাইসেন্স থাকলে তবেই আমদানিতে অনুমোদন দেওয়া হবে। ভারত জানিয়েছিল নিরাপত্তার স্বার্থেই সাময়িক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের যেন ক্ষতি না হয়, সেই লক্ষ্যে কথা বলবেন দুই নেতা। গত জুন মাসে মোদীর আমেরিকা সফরের সময় বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সামরিক ও মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পরিসর বাড়ানোর বিষয়টিও দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে।