ছবি: সংগৃহীত।
আরব সাগরে ভারতের ‘স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ ঢুকে টহল দিয়ে গেল আমেরিকার নৌবাহিনী। যা উদ্বেগ বাড়াল ভারত সরকারের।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের অবাঞ্ছিত আনাগোনা ঠেকাতে যারা এত দিন ভারতের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলত, জলপথে অনুপ্রবেশের দায় এ বার কাঠগড়ায় সেই আমেরিকা! শুক্রবার সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে জানানো হয়, ঘটনাটি নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায় আমেরিকার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত।
ভারত তাদের এই পদক্ষেপকে জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থি মনে করলেও প্রাথমিক ভাবে তা নিয়ে কোনও হেলদোল দেখায়নি আমেরিকার। বরং তাদের নৌবাহিনীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, জলসীমা নিয়ে ভারতের ‘বাড়তে থাকা দাবির’ মুখে নয়াদিল্লির অনুমতি ছাড়া নিজেদের নৌযাত্রা সংক্রান্ত স্বাধীনতার ভিত্তিতেই গত ৭ এপ্রিল ওই জলপথ পেরিয়েছে তাদের জাহাজ ইউএসএস জন পল জোন্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার নৌবাহিনীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভারতের সামুদ্রিক সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করেছে। সংশ্লিষ্ট এক ভারতীয় আধিকারিকের কথায়, ‘‘যদি শুধু পারাপারের ব্যাপার থাকে তা হলে কোনও সমস্যা নেই। তবে আমেরিকার নৌবাহিনী যদি অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনও সামরিক মহড়া চালিয়ে থাকে, তা হলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সুরক্ষা আইনে উপকূলের ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দেশটির জলসীমা। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র আইন অনুযায়ী, উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালানোর অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের। এটি দেশটির ‘স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল’। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই আইনে ভারত সায় দিলেও আমেরিকা দেয়নি। যার ভিত্তিতেই লক্ষদ্বীপের কাছে টহল দিয়ে তারা আইন ভাঙেনি বলে দাবি আমেরিকার।