Rishi Sunak

Rishi Sunak নিজেই তদন্ত শুরু করলেন ঋষি সুনক

নিজেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন  প্রশাসনের নৈতিক প্রহরী বলে উল্লেখ করলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ ০৬:১৭
Share:

ঋষি সুনক।

স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে ঘিরে কর-বিতর্কের মধ্যেই নিজেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রশাসনের নৈতিক প্রহরী বলে উল্লেখ করলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। জানালেন, তাঁর নামে চলতে থাকা অপপ্রচার দ্রুতই থেমে যাওয়া উচিত। উল্লেখ্য, কর-বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র দাবি করেছিল, বিতর্ক এড়াতে পদত্যাগ করার সম্ভাবনা রয়েছে ঋষির। প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কর-বিতর্কের অবসান ঘটাতে নিজেই তদন্ত শুরু করেছেন ঋষি। প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রী-বিষয়ক উপদেষ্টা লর্ড গাইটের সঙ্গে দেখা করে তিনি আইন নিয়ে আলোচনাও করেছন। বিতর্ক শুরুর পরেই অক্ষতা জানিয়েছেন, তিনি কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও দাবি উঠছে, ‘ফাঁকি’ দেওয়া কর, তাঁকে ফেরত দিতে হবে।

Advertisement

২০০৯ সালে ঋষি ও অক্ষতার বিয়ে হয়। ইনফোসিস-কর্তা নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা ভারতীয় নাগরিক। বাবার সংস্থায় ০.৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তাঁর। এই শেয়ার থেকে প্রতি বছর বিপুল লভ্যাংশ পান অক্ষতা। অথচ সেই আয়ের উপরে ব্রিটেনে কর দেন না। এর কারণ, সে দেশের কর ব্যবস্থায় অক্ষতা ‘নন-ডোমিসাইলড’ হিসেবে চিহ্নিত। এই তথ্য সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জানা গিয়েছে, ঋষিরও রয়েছে আমেরিকার স্থায়ী নাগরিকত্ব। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে করসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। এই বিতর্কের মধ্যেই ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবন ছেড়ে সদ্য কেনিংস্টনের অন্য বাড়িতে উঠে এসেছেন সুনকেরা।

গত সপ্তাহে কর নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধার পরেই সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের তির্যক মন্তব্য ও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ঋষিকে। ব্রিটেনের লেবার পার্টির সদস্যদের দাবি, কর সংক্রান্ত স্বচ্ছতা নিয়ে এখনও বহু প্রশ্নের জবাব দিতে হবে ঋষিকে। জানাতে হবে ব্রিটেনের বাইরে কোনও ‘ট্যাক্স হেভেন’ দেশে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে কি না। পাল্টা উত্তরে সুনক জানান, লর্ড গাইটের পর্যালোচনা ও পূনর্মূল্যায়নেই জানা যাবে তিনি কোনও তথ্য গোপন করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement