জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
প্যালেস্টাইনের সমর্থনে এবং ইজ়রায়েলি সেনা অভিযানের বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে আমেরিকার একের পর এক শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভের আঁচ দেখা গিয়েছে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ-তেও। এই আবহে দেশের প্রথম সারির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্বনির্ধারিত সূচি থাকলেও, তা আপাতত স্থগিত রাখলেন ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি।
জেএনইউ-র ‘দ্য স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ়’ গত সোমবার বিকেল ৪টের সময় একটি আলোচনাসভায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে। কিন্তু গার্সেট্টির জেএনইউ সফর প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি আমেরিকার দূতাবাসের তরফ থেকেও।
তবে অনেকেই মনে করছেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জেএনইউ-তে এলে তাঁকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হত। ইজ়রায়েলকে সাহায্য করার প্রশ্নে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবাণও ধেয়ে আসতে পারত তাঁর দিকে। এই পরিস্থিতিতে সফর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই জেএনইউ ক্যাম্পাসের ইতিউতি ইজ়রায়েলের বিরোধিতা করে একাধিক পোস্টার, ব্যানার লক্ষ করা গিয়েছে। কোথাও লেখা ‘প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করা হোক’, কোথাও আবার লেখা ‘গাজ়ায় গণহত্যা বন্ধ হোক’। আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুনেই এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম পরিচালিত ছাত্র সংসদ। একটি বিবৃতি দিয়ে ছাত্র সংসদের তরফে জানানো হয়, ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতে আমেরিকা সরাসরি ইজ়রায়েলের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। জেএনইউ-র আর্দশ তার সঙ্গে যায় না বলে দাবি তাদের।
প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করার দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলছে আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেই বিক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।