অভিষেকের বাড়ির সামনে ঘুরে বেড়াতে এবং ছবি তুলতে দেখা গিয়েছিল রাজারামকে। — ফাইল চিত্র।
আবার পুলিশি হেফাজতে রাজারাম রেগে। ৫ মে, আগামী রবিবার পর্যন্ত তাঁর পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা আসার আগে দিল্লি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, ছত্তীসগঢ়ের মতো বিভিন্ন শহরে গিয়েছিলেন রাজারাম। কলকাতা আসার আগে ওই সব শহরে কেন গিয়েছিলেন তিনি, দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার থেকেও তথ্য চেয়েছে তারা।
রাজারামের আইনজীবী সোমবার আদালতে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেসেজ করে বলেছিলেন, ‘‘নমস্কার দাদা, আমি মুম্বই থেকে এসেছি, আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’’ জামিনের আবেদন করে আইনজীবী এও সওয়াল করেন যে, অভিষেক নিজে অভিযোগ জানাননি। রাজারাম নির্মাণ ব্যবসায়ী। তাঁকে জঙ্গি কেন বলা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন।
সরকারি আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, রাজারাম ব্যবসায়ী হলে কেন কলকাতায় এসে নির্দিষ্ট ব্যক্তির তথ্য নিচ্ছিলেন? কেনই বা ছবি তুলে মুছে দেন? সেই ছবির কী করা হল, তার তদন্ত প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত রাজারামকে পুলিশি হেফাজতেই পাঠিয়েছে আদালত।
গত ২২ এপ্রিল মুম্বই থেকে গ্রেফতার হন রাজারাম। তার পর থেকে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তদন্তকারীরা রাজারামকে জেরা করার পাশাপাশি, কলকাতায় তাঁর চার লিঙ্কম্যান, গাড়ির চালক এমনকি মুম্বই থেকে তাঁর স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েও জেরা করেছে। পরীক্ষা করেছে তাঁর কাছ থেকে পাওয়া ফোন। বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের।
মুম্বই হামলার মূলচক্রী ডেভিড হেডলি হামলার ঘটনার আগে মুম্বইয়ে এসে যোগাযোগ করেছিলেন রাজারামের সঙ্গে। সেই রাজারামকেই কলকাতায় হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটে অভিষেকের বাড়ির সামনে ঘুরে বেড়াতে এবং ছবি তুলতে দেখা যায়। এমনকি, অভিষেকের আপ্তসহায়ককে ফোনও করেছিলেন রাজারাম। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। যার জেরে গত সোমবার মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজারামকে। পুলিশ জানতে পেরেছে, গত দু’বছরে রেগের কলকাতা আসার কোনও ইতিহাস না থাকলেও গত ছ’মাসে রেগের সঙ্গে সল্টলেকের কল সেন্টারের যোগাযোগ ছিল।