ডেভিড স্টিলওয়েল— ফাইল চিত্র।
বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন। বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডেভিড স্টিলওয়েল এই অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করছি, উহানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই চিন পরিস্থিতির সুযোগ নিতে সক্রিয় হয়েছে। ভারতের ঘটনা তার অন্যতম উদাহরণ।’’
নয়াদিল্লির সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে না-হেঁটে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) সমস্যা মেটানোর জন্য জন্য চিনকে ‘পরামর্শ’ও দিয়েছেন ডেভিড। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বেজিংয়ের বন্ধুদের বলব, তাঁরা যেন শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পালন করেন।’’
২৯ অগস্ট রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ঘিরে লাদাখে নতুন করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডেভিড স্টিলওয়েলের মন্তব্যকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনীতির বিশ্লেষকদের একাংশ। শুধু লাদাখের পরিস্থিতি নয়, ডেভিডের বক্তব্যে এসেছে দক্ষিণ চিন সাগরের সাম্প্রতিক উত্তেজনা, চিনা ফাইটার জেটের তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং হংকংয়ে স্বশাসনের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের উপর চিনা আইনরক্ষকদের দমনপীড়নের প্রসঙ্গও।
আরও পড়ৃুন: ঘৃণা-ভাষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুক
গলওয়ানে চিনা ফৌজের হামলার পরে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো বেজিংয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন। প্যাংগং-কাণ্ডের পরে তিনি সঙ্ঘাতের রাস্তা থেকে সরে আসার ‘বার্তা’ দিয়েছিলেন চিনকে। এর পর চলতি সপ্তাহে মার্কিন বিদেশ দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন বিগান সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রতিপত্তি রুখতে ভারতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াবে আমেরিকা।
আরও পড়ৃুন: চিনকে রোখা লক্ষ্য, জানাল আমেরিকা