আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি। — ফাইল চিত্র।
গুগ্লের সিইও কে? সুন্দর পিচাই। মাইক্রোসফ্টের সিইও-র নাম কী? সত্য নাদেলা। স্টারবাকসের সিইও? লক্ষ্মণ নরসিমহান। তিন জনের মধ্যে মিল খুঁজতে গেলে সবার আগে যেটা মাথায় আসে তা হল, এঁরা সকলেই ভারতীয়। উল্লেখিত তিনটি কোম্পানিই আমেরিকান। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এ বার ভারতীয়দের প্রশংসা করলেন নয়াদিল্লিতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি। এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি জানান, ভারতীয় না হলে আমেরিকান কোম্পানির সিইও হওয়া যায় না!
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ভালই। দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে। ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন আমেরিকায়। কেউ কেউ পড়াশোনা শেষে সেখানেই চাকরি নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আবার কর্মসূত্রে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া ভারতীয়দের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মী। সেই সব কথা বলতে গিয়েই ভারতীয়দের শংসাপত্র দিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে বলা চলে আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানির ১০ জন সিইও-র মধ্যে এক জন ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি শুরু করেন। তার পর নিজের যোগ্যতায় সাফল্য পেয়েছেন।’’
এরিকের কথায়, ‘‘একটা পুরনো প্রবাদ ছিল তুমি ভারতীয় হলে আমেরিকায় সিইও হতে পারবে না। এখন সেই কথাই পুরো উল্টে গিয়েছে। এখন বলা যায়, আপনি ভারতীয় না হলে আমেরিকায় সিইও হতে পারবেন না।’’ তার পরই তিনি গুগ্ল, স্টারবাকস, মাইক্রোসফ্টের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘‘ভারতীয়েরা আমেরিকায় যাচ্ছেন। সেখানে বড় পরিবর্তন আনছেন।’’
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরিক তেমনই এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘‘২০২৩ সালে ১৪ লক্ষ ভারতীয়কে আমেরিকান ভিসা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ভারতীয়দের ভিসা দিতে যাতে দেরি না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।’’ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করেন এরিক।