বিরোধী বৈঠকের আগে এই ভাবেই সেজে উঠেছে বেঙ্গালুরুর একটি রাস্তা। ছবি: পিটিআই।
নাম বদলে যাচ্ছে ইউপিএ-র? বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক শুরুর আগেই জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে যে, বিরোধী জোটের নাম বদলে যেতে চলেছে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল এই প্রসঙ্গে সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিরোধীদের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী সমমনস্ক দলগুলি যাতে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে এগোতে পারে, তার জন্য বেঙ্গালুরুতে সবিস্তারে আলোচনা হবে। বিভিন্ন রাজ্যে দলগুলির মধ্যে আসন রফা নিয়েও আলোচনা হবে। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করার উদ্দেশে লোকসভা ভোটের আগে একটি সাব কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলি যাতে সম্মিলিত ভাবে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করতে পারে, তার জন্য দিল্লির একটি দফতর খোলার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
বিরোধী বৈঠকের সম্ভাব্য আলোচনাসূচির তালিকায় নাকি রয়েছে ইভিএমের বিষয়টিও। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটদানে আগেও সংশয় প্রকাশ করেছিল বিরোধী দলগুলি। এ বার একযোগে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানাতে পারে তারা। তবে এই সব কিছুর প্রেক্ষিতেই ইউপিএ-র নাম পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছে।
২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের পর শরিক দলগুলিকে নিয়ে ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স — সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা) গঠন করেছিল কংগ্রেস। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (ন্যাশানাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স — জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা) জোটের মতো ইউপিএ জোটের নেতৃত্বে ছিল কংগ্রেসই। তাই এই জোটে কংগ্রেসের প্রভাবই ছিল বেশি। তবে বিরোধী বৈঠকে যোগ দিলেও কংগ্রেসের নেতৃত্ব মেনে নিতে এর আগে আপত্তি জানিয়েছিল একাধিক বিরোধী দল। সে কারণেই এই নাম পরিবর্তনের জল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউপিএ-র নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে বেণুগোপাল সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এই বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে কি না, তা আমি আপনাদের বলতে পারি না। কংগ্রেস একা কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। সব বিরোধী দল একসঙ্গে বসবে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বিরোধী বৈঠকে উপস্থিত থাকছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-সহ মোট ২৬টি দল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের লিখিত বক্তব্য পড়ে বৈঠক শুরু হবে। বৈঠক শেষে বিকেল ৪টে নাগাদ বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন।