প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে চিতাবাঘের আতঙ্ক। এ বার প্রাণ হারাল এক ছ’বছরের শিশু। তার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
দক্ষিণ লখিমপুর খেরির সারদানগর রেঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাবাকে চাষের কাজে সাহায্য করতে গিয়েছিল ওই শিশুটি। আখের ক্ষেতে লুকিয়ে ছিল একটি চিতাবাঘ। আচমকাই শিশুটিকে লক্ষ্য করে ঝাঁপ মারে। তাকে ধরে মুখে করে টানতে টানতে একটি গাছের কাছে নিয়ে যায়। ওই শিশুটির বাবার চিৎকারে ছুটে আসেন অন্যান্য গ্রামবাসীরা। তাঁদের তাড়া খেয়েই শিশুটিকে ফেলে পালায় চিতাবাঘটি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দক্ষিণ খেরির মহম্মদি রেঞ্জের অন্তর্গত ভাদাইয়া গ্রামে চিতাবাঘের কবলে প্রাণ হারান প্রভু দয়াল নামে এক কৃষক। বেলা পাহাড়া এলাকার সংরক্ষিত জঙ্গলের কাছাকাছি একটি আখের ক্ষেতে অতর্কিতে তাঁকে আক্রমণ করেছিল চিতাবাঘটি। গ্রামবাসীরা প্রথমে মনে করেছিলেন, কোনও বাঘ আক্রমণ করেছে প্রভুকে। যদিও পরে পায়ের ছাপ দেখে ধারণা পাল্টায়। পর পর চিতাবাঘের হামলায় দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটও ছোড়ে ক্ষুব্ধ জনতা।
অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে ছড়িয়েছিল মানুষখেকো নেকড়ে আতঙ্ক। গত কয়েক মাস ধরে নেকড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে ছিল বহরাইচ। বন দফতর পাঁচটি নেকড়েকে ধরে। কিন্তু ষষ্ঠটি বাইরেই ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে নানা চেষ্টা করেও তাকে ধরা যায়নি। অবশেষে শনিবার ওই নেকড়েটিকে ধরেন গ্রামবাসীরা। ধরে ফেলার পর বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার আগেই পিটিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়। বহরাইচে নেকড়ে-আতঙ্ক কাটলেও লখিমপুর খেরিতে দেখা দিল চিতাবাঘ আতঙ্ক।