বহরাইচে ষষ্ঠ নেকড়েটিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের ষষ্ঠ তথা শেষ নেকড়েটিকে ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা। শনিবার তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে খবর। ওই নেকড়েটি রাতে একটি ছাগল ধরতে গিয়েছিল। সেই সময় তাকে ধরে ফেলা হয়।
বহরাইচের লোকালয়ে মানুষখেকো নেকড়ের একটি দল ঢুকে পড়েছিল। ওই দলে ছিল ছ’টি নেকড়ে। গত কয়েক মাস ধরে নেকড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে ছিল বহরাইচ। বন দফতর পাঁচটি নেকড়েকে ধরে। কিন্তু ষষ্ঠটি বাইরেই ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে নানা চেষ্টা করেও তাকে ধরা যায়নি। অবশেষে শনিবার ওই নেকড়েটিকে ধরেন গ্রামবাসীরা। ধরে ফেলার পর বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার আগেই পিটিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়।
বহরাইচে গত কয়েক মাসে নেকড়ের হামলায় অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা ছাড়া বাকি আট জনই শিশু। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা ছিল ৫০-এর বেশি। প্রায় প্রতি দিনই গ্রামবাসীদের পোষা হাঁস-মুরগি-ছাগল মেরে নিয়ে যাচ্ছিল ওই নেকড়ের দল। পাঁচটি নেকড়ে ধরা পড়লেও ষষ্ঠটির জন্য আতঙ্ক ছিল গ্রামে। পঞ্চম নেকড়েটিকে বন দফতর ধরেছিল গত ১০ সেপ্টেম্বর। তার পর টানা ২৪ দিন ধরে বন দফতর ষষ্ঠটিকে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নানা ভাবে সে এড়িয়ে গিয়েছে বন আধিকারিকদের।
শনিবার ষষ্ঠ নেকড়েটিকে ধরার পর গ্রামে যেন স্বস্তি ফিরেছে। বহরাইচের ডিভিশনার ফরেস্ট অফিসার অরিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁদের কাছে খবর যায়, ষষ্ঠ নেকড়েটি ধরা পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় পৌঁছন আধিকারিকেরা। কিন্তু তাঁরা এলাকায় পৌঁছে দেখেন নেকড়েটি মারা গিয়েছে। মরে পড়েছিল সেই ছাগলটিও, যাকে ধরতে গিয়ে নেকড়েটি ধরা পড়ে।
বন দফতর জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে পঞ্চম নেকড়েটি ধরা পড়ার পর থেকে বহরাইচে মানুষের উপরে নতুন করে আর কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। কারও প্রাণও যায়নি। ফলে এই নেকড়েটি আদৌ ‘মানুষখেকো’ কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করার ভাবনা রয়েছে বন দফতরের। বিষয়টি নিয়ে তাদের তরফেও তদন্ত শুরু হয়েছে।