যোগী আদিত্যনাথ। — ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল। পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। বিরোধীদের আক্রমণে লোকসভা ভোটের আগে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। অবশেষে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেছেন, “যারা আমাদের যুব সমাজের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলার দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পরেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া পদক্ষেপের বার্তা। প্রসঙ্গত গত ১৭ ও ১৮ তারিখ পুলিশে নিয়োগের ওই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, অনেকেই অসদুপায়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যোগী জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে সরকার ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। এমন পদক্ষেপ করা হবে, যা নজির হয়ে থাকবে বলেও বার্তা যোগীর।
এক্স হ্যান্ডলে করা আর এক পোস্টে যোগী লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশে পিএসসি, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং অধীনস্থ সেবা চয়ন আয়োগের পরীক্ষা স্বচ্ছ আয়োজন করে ১৭৮২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিটি যুবকের অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান। তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে। লখনউয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সত্য আমন কুমার ও নীরজ নামে দু’জনকে।
তবে যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা বাতিল আসলে যুবদের জয়। হার বিজেপির দুবৃত্তদের। প্রথমে বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, অফিসার ও অপরাধীরা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তাদের মদত জোগাচ্ছে সরকার। এর পরেই বিজেপিকে নিশানা করে অখিলেশ জানান, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও। তিনি জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস আসলে সরকারের দুর্নীতি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক।