জঞ্জাল সরানোর গাড়িতে মৃতদেহ তোলার দৃশ্য।
করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহ জঞ্জাল ফেলার গাড়িতে করে তুলে থানায় নিয়ে গেলেন কর্পোরেশনের কর্মীরা। বুধবার এই চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হলেন উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর শহরের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ভ্যানে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার ছবি এবং ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্থানীয় একটি সরকারি অফিসে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন বলরামপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আনোয়ার। অফিসের গেটের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর তাঁর দেহ ঘিরে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। সেই ঘটনাক্রমের একাধিক ভিডিয়ো ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, মহম্মদ আনোয়ারের দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। তার পাশে রয়েছে একটি জলের বোতল। দেহের পাশে এক জন পুলিশকর্মী এবং একটি জঞ্জাল সরানোর গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই ছবিও ধরা পড়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় একটি অ্যাম্বুল্য়ান্সও। কিন্তু তাতে আনোয়ারের দেহ তোলা হয়নি। এর পরই ঘটে সেই মর্মান্তিক ঘটনা। শেষ পর্যন্ত জঞ্জাল ফেলার ওই গাড়িটিতে তোলা হয় মহম্মদ আনোয়ারের মৃতদেহ। নিয়ে যাওয়া হয় থানার উদ্দেশে। গোটা ঘটনাটিকে ‘অমানবিক এবং অসংবেদনশীল’ বলেই আখ্যা দিয়েছে বলরামপুর পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমার বিশ্বাস, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
বলরামপুর পুলিশের প্রধান দেবাঞ্জন ভার্মা বলছেন, ‘‘করোনার মতো অতিমারি নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। কিন্তু ওই কর্মীরা অমানবিক কাজ করেছেন। পুলিশ এবং কর্পোরেশনের কর্মীদের তরফে বড় ভুল হয়েছে। যদি করোনাই সন্দেহ করা হবে, তা হলে পিপিই নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’’ তবে কী কারণে আনোয়ার নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।