Uttar Pradesh Crime

এক হাতে কাটারি, অন্য হাতে স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু! রক্ত মাখা গায়ে রাস্তায় ঘুরলেন উত্তরপ্রদেশের রাজমিস্ত্রি

পুলিশ সূত্রে খবর, অনিল আট বছর আগে বিয়ে করলেও বর্তমানে স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকতেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রীর ঘরে ঢুকে তাঁকে খুন করেন অনিল। এর পর স্ত্রীর দেহ থেকে মুণ্ডু কেটে, সেই মুণ্ডু নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৩০
Share:

স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু নিয়ে রাস্তায় ঘুরছেন অভিযুক্ত স্বামী। ছবি: সংগৃহীত।

এক হাতে কাটারি। অন্য হাতে, স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। সারা গায়ে রক্ত। উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকীর রাস্তায় বৃহস্পতিবার এমন ভাবেই ঘুরতে দেখা গেল এক যুবককে। সেই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম অনিল। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী বিবাহববির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়়েছেন, এই সন্দেহ থেকেই অনিল তাঁকে খুন করেন বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান।

পুলিশ সূত্রে খবর, অনিল আট বছর আগে বিয়ে করলেও বর্তমানে স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকতেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রীর ঘরে ঢুকে তাঁকে খুন করেন অনিল। এর পর স্ত্রীর দেহ থেকে মুণ্ডু কেটে, সেই মুণ্ডু নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যান। সেই দৃশ্য দেখে রাস্তায় স্থানীয় এবং পথচারীরা শিহরিত হয়ে যান। রাস্তায় ভিড় লেগে যায়। অনেকে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করেন। কিছু ক্ষণ পরেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরেও একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পটাশপুর থানার চিস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতম গুছাইত বুধবার স্ত্রী ফুলরানি গুছাইতকে খুন করেন কাটারি দিয়ে। তার পর সেই কাটা মুন্ডু রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বেশ কিছু ক্ষণ মুন্ডু হাতে নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করার পর একটি বেঞ্চে গিয়ে বসেন তিনি। পাশে রেখে দেন স্ত্রীর কাটা মুন্ডু। সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি এবং বারমুডা পরিহিত মারমুখী গৌতমকে দেখে শোরগোল শুরু হয়ে যায় ওই এলাকায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই খবর যায় পটাশপুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল গৌতমের পরিবারে। তার জেরেই বুধবার স্ত্রীকে তিনি খুন করেছেন বলেই মনে করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement