যৌতুকে মোটরসাইকেল না পেয়ে ছাঁদনাতলা থেকে পালালেন বর। আর সেই ঘটনা ঘিরেই হুলস্থুল পড়ে গেল উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকীর এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। কান্নায় ভেঙে পড়েন পাত্রী। হুমকি দেন, বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ ডিসেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। পাত্রপক্ষও এসে হাজির হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্ব আসতেই গোল বাঁধল। যৌতুকে মোটরসাইকেল কেন দেওয়া হয়নি, এই দাবি তুলে বিয়ে করবেন না বলে বেঁকে বসেন বর। শেষমেশ বিয়ে না সেরেই ছাঁদনাতলা ছেড়ে অতিথিদের নিয়ে চলে যান তিনি।
পাত্রীর বাড়ি জহাঙ্গিরাবাদে। আর পাত্র অযোধ্যার। ‘তিলক’ অনুষ্ঠান শেষে বর এবং কনেপক্ষের মধ্যে যৌতুক নিয়ে বচসা শুরু হয়ে যায়। পাত্রপক্ষের দাবি, তাঁদের ছেলেকে মোটরসাইকেল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাত্রীর বাবা। কিন্তু সেই কথা রাখেননি। কিন্তু কনেপক্ষের দাবি, তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। আর এমন কোনও প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়নি। ফলে টানাপড়েন শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। তার পরই বিয়ের মণ্ডপ ছাড়েন বর।
এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে বিয়েবাড়িতে। পাত্রীপক্ষের তখন দিশাহারা অবস্থা। পাত্রীও কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর পরই বর এবং পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হন পাত্রীর বাবা। কিন্তু অভিযোগ, থানার এক কনস্টেবল তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন খুব শীঘ্রই পাত্র বিয়ের জন্য হাজির হবেন। কিন্তু পাত্র আর আসেননি। এর পরই পাত্রী একটি নোট লিখে আত্মহত্যার হুমকি দেন। তিনি লেখেন, “আমার বাবা খুবই গরিব। পুলিশের কাছে অনুরোধ, আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন। যদি বিয়ে না হয়, তা হলে আত্মহত্যা করব।”