—প্রতীকী ছবি।
রাম যে কারও একার নয়, তা বোঝাতে আজ মকর সংক্রান্তির দিন অযোধ্যায় সরযূ নদীতে স্নান করে রামলালা দর্শন করে পুজো দিলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। বার্তা স্পষ্ট— আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেও, রামের ভজনায় কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই।
উত্তর ভারতে হিন্দু ভোট হারানোর ঝুঁকি নিয়েও রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, তাঁরা রামমন্দিরের উদ্বোধনের নামে যে মেগা-শো হতে চলেছে, সেটা বয়কট করছেন। রামমন্দিরকে নয়। রাম যে কংগ্রেসেরও আরাধ্য, সেই বার্তা দিতেই আজ সকালে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই, সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা, অখিলেশ প্রতাপ সিংহেরা সরযূ নদীতে স্নান করে রামলালা দর্শন করে পুজো দেন। এই পুজা লোকদেখানো ও রাজনৈতিক বলে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনতে তার জবাবে বলেন, ‘‘আমরা কেবল দর্শন ও পুজো করতে এসেছিলাম। একে রাজনৈতিক সফর বলা ভুল। সত্যটা হল ধর্মের নামে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি।’’ জল্পনা রয়েছে, রাহুল গান্ধী যে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করছেন, সেই যাত্রাও উত্তরপ্রদেশে হয়ে যাওয়ার সময়ে রামমন্দির ছুঁয়ে যেতে পারে। যদিও রামমন্দির উদ্বোধন-রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে প্রচার বিজেপি যে উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়েছে, তার মোকাবিলা কতটা এ ভাবে করা সম্ভব, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
আজ রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, আগামিকাল গর্ভগৃহে মূর্তি স্থাপন করা হবে। ২২ জানুয়ারি ১২১ আচার্যের উপস্থিতিতে বেলা ১২টা বেজে ২০ মিনিটে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় মত ও পন্থের দেড়শো জনের প্রতিনিধিসমাজ। চম্পত জানিয়েছেন, প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগের যে সব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান রয়েছে, তা আগামিকাল থেকে শুরু হয়ে চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।