নিখোঁজ এক অটোচালকের উদ্ধারের দাবিতে উত্তাল হাইলাকান্দি। আজ এই ঘটনায় পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগে ১২ ঘণ্টা বন্ধ পালন করে জেলার বিভিন্ন সংগঠন। আলগাপুরে ১৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, দ্রুত নিখোঁজ অটোচালক সইদ বদরুল ইসলামকে উদ্ধার করতে হবে।
পুলিশ জানায়, ২৭ জুন হাইলাকান্দির বড়জোড়াই গ্রামে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন ২৬ বছরের বদরুল। তার কোনও খোঁজ না পেয়ে সইদ নূরউদ্দিন হাইলাকান্দি থানায় ছেলেকে অপহরণের মামলা রুজু করেন। পুলিশ ঘটনার এক দিন পর শিলচর থেকে বদরুলের অটোরিকশা উদ্ধার করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের খোঁজ মেলেনি। এতে উদ্বিগ্ন তাঁর পরিজন, বন্ধুরা।
আলগাপুরের ১০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নাগরিক সভা ডেকে বদরুলের উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ধলেশ্বর-ভৈরবী জাতীয় সড়কে বোয়ালিপার, আলগাপুর, চিপরসাঙ্গন, বড়জোড়াইয়ে দফায় দফায় অবরোধ করা হয়। পুলিশ ৮০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অসম গণ পরিষদের হাইলাকান্দির জেলা পরিষদ সদস্য মেহেনাজ সইদ চৌধুরী, আলগাপুর আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সদস্য সামিমা বেগম চৌধুরী, সারা অসম ছাত্র সংস্থার হাইলাকান্দি জেলার উপদেষ্টা নাহারুজামান চৌধুরী, অসম যুব পরিষদের জেলা সম্পাদক সইদ হিবজুর রহমান ,শাবুল ইসলাম চৌধুরী, রিপুন আহমেদ বড়ভুঁইঞা, ইমরান হুসেন, আবুল হুসেন চৌধুরী, একলাসউদ্দিন।
মেহেনাজ সাইদ চৌধুরী বলেন, ‘‘২৪ দিন পরও পুলিশ বদরুলকে উদ্ধার করতে পারেনি। তদন্তকারীরা যথেষ্ট সক্রিয় হচ্ছেন না।’’ তিনি জানান, বদরুলের উদ্ধারের দাবিতে তাঁরা আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলবেন। সইদ বদরুল ইসলামের নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে মানবঅঙ্গ পাচারকারীদের যোগাযোগ থাকার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
হাইলাকান্দির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজমোহন রায় এ বিষয়ে জানা, তল্লাশি চলছে।
এ দিনের আন্দোলনে সামিল ছিল— সারা অসম সংখালঘু ছাত্র সংস্থা, প্রদেশ যুব কংগ্রেস, ইউডিএসএফ, পিএসওয়াইএফ, ডিজেল অটো সংস্থা, পেট্রোল অটো সংস্থা, অসম যুব পরিষদ, সিপিএসএফ, এনবিএস।