—ফাইল চিত্র।
সব বিক্ষোভের ক্ষেত্রে কার্যকর করার জন্য একটি নীতি তৈরি তৈরি করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের মতে, প্রতি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে প্রতিবাদের অধিকার ও রাস্তা বন্ধ করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। দিল্লির শাহিনবাগে রাস্তা আটকে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে কোর্ট। ওই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি এস কে কল, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের ফলে কোভিড প্রোটোকল চালু হয়। ফলে শাহিন বাগের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। আজ মামলার শুনানিতে বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘‘এ ক্ষেত্রে স্বয়ং ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করেছেন।’’
আবেদনকারী আইনজীবী অমিত সাহনি সওয়ালে বলেন, ‘‘এই ধরনের বিক্ষোভ চলতে দেওয়া ঠিক নয়। প্রায় ১০০ দিন ধরে ওই বিক্ষোভ চলায় মানুষের অসুবিধে হয়েছে। হরিয়ানায় আবার গত কাল চাক্কা জ্যাম হয়েছে। ২৪-২৫ সেপ্টেম্বরে ভারত বন্ধও ডাকা হয়েছে।’’ অন্য এক পক্ষের আইনজীবী মেহমুদ প্রাচা বলেন, ‘‘সকলের শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। শাহিনবাগে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা গিয়ে গোলমাল শুরু করেছিল।’’ বিচারপতিরা জানান, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ ও রাস্তায় প্রতিবাদ হতে পারে। কিন্তু রাস্তায় প্রতিবাদকে শান্তিপূর্ণ হতে হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘প্রতিবাদের অধিকার নিরঙ্কুশ নয়। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকটি রায়ও আছে।’’
বিচারপতিরা জানান, শাহিন বাগে সমস্যার সমাধানের জন্য সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছিল। সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে কি না তা বলা কঠিন। তবে মধ্যস্থতাকারীরা সমাধানের কিছু উপায়ের কথা বলেছিলেন। সেগুলি বিবেচনা করা যেতে পারে।