প্রতীকি ছবি
একজোট হয়ে কৃষক সংগঠনগুলি পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত আসনে লড়াই করবে। শনিবার সামনে এসেছে নতুন ‘সংযুক্ত সমাজ মোর্চা’। যে ৩২টি কৃষক সংগঠন ‘সংযুক্ত কিসান মোর্চা’ গঠন করে অধুনা-বাতিল কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এসেছে, তার মধ্যে ২২টি নতুন মোর্চায় এসেছে। নেতৃত্বে থাকতে পারেন ভারতী কিসান ইউনিয়ন (রাজেওয়াল)-এর নেতা বি এস রাজেওয়াল। ভোটে আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে নতুন মোর্চার জোট নিয়েও চলছে জল্পনা।
আর বছর দুয়েকে লোকসভা ভোট। তার আগে, আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে কৃষিপ্রধান দুই রাজ্যে, বিজেপির দখলে থাকা উত্তরপ্রদেশ এবং কংগ্রেসের দখলে থাকা পঞ্জাবে। এ মাসেই প্রথম পঞ্জাবের আসন্ন ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেন সংযুক্ত সংঘর্ষ পার্টির নেতা গুরনাম সিংহ চাদুনি। তার
এক সপ্তাহ পরেই ‘সংযুক্ত সমাজ মোর্চা’ তৈরি হওয়ায় ভোটের আগে কৃষক সংগঠনগুলির নতুন নতুন দল গঠনে রাশ পড়বে বলে অনেকের ধারণা। সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, ‘সংযুক্ত সমাজ মোর্চা’য় যোগ দিতে তৈরি আরও তিনটি কৃষক সংগঠন। কথা চলছে আরও তিন সংগঠনের সঙ্গে।
এ দিন সংযুক্ত কিসান মোর্চা জানায়, তারা প্রায় চারশো সংগঠনের একটি মঞ্চ। আলাদা আলাদা মতাদর্শের কথা মাথায় রেখে তাই ওই ব্যানারে ভোটে লড়া হবে না। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই, ভারতী কিসান ইউনিয়ন (কাদিয়ান)-এর হরমিত সিংহ কাদিয়ান এ দিন বলেন, ‘‘সংযুক্ত কিসান মোর্চা একটা বড় ছাতা। আমরা আন্দোলনে জিতেছি। কিন্তু ফিরে আসার পরেও আমাদের উপরে চাপ ছিল। যদি যুদ্ধে জিততে পারি, তা হলে ভোটেও পারব। তাই জনতার দাবি মেনে সংযুক্ত সমাজ মোর্চা আত্মপ্রকাশ করছে।’’ পঞ্জাবের ১১৭টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই লড়বেন বলে জানান তাঁরা।
বি এস রাজেওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের প্রথমেই গ্রাম স্তরে সংগঠন পোক্ত করে তুলতে হবে...আমজনতার মধ্যে।’’ তবে আপ-এর সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও আলাপ-আলোচনা হয়নি। পুরোটাই সংবাদমাধ্যমের জল্পনা।’’
গত বছর সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া কৃষি আইনের তিনটির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল। ওই বছরের নভেম্বর থেকে দিল্লির সীমানায় অবস্থান করছিলেন পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও হরিয়ানার প্রচুর কৃষক। বিজেপির তাবড় নেতারা বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে নানা কথা বললেও অবশেষে, গত মাসে আচমকাই বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।