রিমোট ভোটিংয়ের ব্যবস্থা এখনই চালু হচ্ছে না দেশে। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরে বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোট এবং আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে (২০২৪) ‘রিমোট ভোটিং’-এর ব্যবস্থা চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু শুক্রবার লোকসভায় এই ঘোষণা করার পরে নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী শিবিরে।
রিমোট ব্যবস্থা চালু হলে, ভোট দেওয়ার জন্য আর বুথে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না! দেশের যে কোনও প্রান্তে এমনকি, বিদেশে বসেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভারতের ভোটদাতারা। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এমন ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ইন্টারনেট যুক্ত সেই দূরবর্তী ভোটগ্রহণ যন্ত্রের (যার পোশাকি নাম রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা আরভিএম) মহড়া দেখার জন্য গত মাসে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল কমিশনের তরফে।
কিন্তু রিজিজুর ঘোষণায় সেই উদ্যোগ আপাতত ধামাচাপা পড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের নিম্নকক্ষে প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন দেশে আসন্ন নির্বাচনের জন্য আরভিএম চালু করার কোনও প্রস্তাব দেয়নি।’’
বিরোধীদের আপত্তির জেরেই আরভিএম নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং কমিশন ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন। নভেম্বর মাসে আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরভিএম নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তারা জানিয়েছিল, যেখানে কারচুপির সম্ভাবনা রুখতে ইভিএম তুলে দিয়ে ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলা হচ্ছে, সেখানে রিমোট ভোটিং সমর্থনের প্রশ্নই নেই।