সুশীল চন্দ্র।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রীর দফতর কেন বৈঠকে ডেকেছিল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে আজ ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে আইন মন্ত্রকের দাবি, নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে যে সব নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করে আসছিল, তা রূপায়ণ করতেই কমিশনের সঙ্গে সরকারের ঘরোয়া আলোচনা হয়েছিল। এই আলোচনার পরেই গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ এবং সব ভোটের জন্য একটিই ভোটার তালিকা তৈরির জন্য নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই বিল পেশ হবে।
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে ১৬ নভেম্বর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও দুই নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও অনুপচন্দ্র পাণ্ডেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তারা ডেকে পাঠিয়েছিলেন— এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে কী ভাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর তলব করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আজ আইন মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, একটিই ভোটার তালিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, ক্যাবিনেট সচিবের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছিল। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই বিশেষজ্ঞ বলে ১৬ নভেম্বরের একটি বৈঠকে আইন মন্ত্রকের তরফে কমিশনের সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডাকা হচ্ছে এমন ভুল বার্তা যাওয়ায় তিনি মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কমিশনের আমলারাই বৈঠকে যোগ দেন। তার পরেও ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য কত বার সুযোগ দেওয়া হবে, আধার সংযুক্তিকরণ, ভোটের জন্য জায়গা নিয়ে কিছু বিষয় ঠিক করার দরকার ছিল। তাই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে পরে ঘরোয়া স্তরে কথাবার্তা হয়।