দেশের একাধিক রাজ্যে বাড়ছে ফ্লু-এর মতো উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতীকী চিত্র।
করোনা কাটতে না কাটতেই এ বার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। দেশের একাধিক রাজ্যে বাড়ছে ফ্লু-এর মতো উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা। এ বার পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগ গ্রহণের পথে হাঁটল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় কী কী করতে হবে তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফ্লু মোকাবিলায় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্তরের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এই চিঠি পাঠিয়েছেন সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবদের উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, বর্তমানে আবহাওয়ার বদলের কারণে বিভিন্ন ধরনের ফ্লু জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ অজান্তেই অ্যাডিনোভাইরাস, ইনফ্লেয়েঞ্জার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং হাঁচি, কাশির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে। এ ভাবেই আরও বহু মানুষ তাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ, করোনাকালের পর মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও ঢিলে দিয়েছেন। সেই ফাঁক গলেই শরীরে বাসা বাধছে অ্যাডিনোভাইরাস, ইনফ্লেয়েঞ্জা।
চিঠিতে রাজেশের পরামর্শ, হাঁচি, কাশির সময় সতর্কতা মেনে চলতে হবে। বার বার হাত ধোয়ার পাশাপাশি হাঁচি, কাশির সময় নাক, মুখ ঢেকে রাখার কথাও চিঠিতে লিখেছেন তিনি। অ্যাডিনোভাইরাস বা ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। একই সঙ্গে সচেতনতা গড়ে তোলার বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়ার পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখার বিষয়েও লিখেছেন রাজেশ।
অ্যাডিনো-সহ অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণে রাশ টানতে তৎপর হয়েছে নবান্নও। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এবং রাজ্য জুড়ে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ‘টাস্ক ফোর্স’-ও গঠন করা হয়েছে।