Coronavirus in India

দিল্লিতে কতটা ছাড়? কেজরীবালের সঙ্গে বিতর্কে জড়ালেন হর্ষবর্ধন

হর্ষবর্ধন এ দিন বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের মতো দিল্লিতেও কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি রাখা উচিত।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ১৬:৪৩
Share:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। —ফাইল চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ঘোষণা করেছিলেন, লকডাউন তোলার জন্য প্রস্তুত দিল্লি। কিন্তু পরের দিন সাত সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বুঝিয়ে দিলেন, এখনই লকডাউন তোলা ঠিক হবে না। ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেও হর্ষবর্ধন বলেছেন, দিল্লিতে এখনও কঠোর ভাবে লকডাউন পালন করা উচিত। সামান্য কিছু ছাড় দেওয়া যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement

রবিবার অরবিন্দ কেজরীবাল ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘দিল্লিতে লকডাউন তোলার সময় এসে গিয়েছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গেই বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’’ এর পাশাপাশি ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন দিল্লির মু্খ্যমন্ত্রী।

কিন্তু কেন্দ্র কয়েক দিন আগেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনুযায়ী রেড, অরেঞ্জ গ্রিন জোনের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে দিল্লির সবকটি জেলাই রেড জোন। অর্থাৎ সংক্রমণ এখনও রয়েছে প্রায় সর্বত্র। রেড জোনে লকডাউন না তোলার জন্য নির্দেশিকাও দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সে সব কার্যত উপেক্ষা করে দিল্লিতে লকডাউন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের নাপসন্দ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদরে ব্যাখ্যা, সেটা বোঝাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামান্য কিছু ছাড়ের কথা বলেছেন। আবার এই সঙ্কটের মুহূর্তে কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও রাজ্যের সঙ্ঘাতও চাইছে না কেন্দ্র। সেই কারণেই এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: দুর্বল নজরদারি, টেস্ট কম, মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রীয় দলের

হর্ষবর্ধন এ দিন বলেন, ‘‘দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক নয়। কারণ সেটা রাজনৈতিক বক্তব্য বলে মনে হতে পারে। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, এই অতিমারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের মতো দিল্লিতেও কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি রাখা উচিত।’’

অন্য দিকে রবিবার থেকে স্বতন্ত্র মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী আজ বিভিন্ন রাজ্যে মদের দোকান খুলতেই সেই সব দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। এমন হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় যে পুলিশকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে। দিল্লিতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়েছে। অনেক জায়গায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: মদের দোকান খুলতেই হুলস্থূল, দিল্লিতে লাঠি, ঝাঁপ পড়ল কলকাতায়

সূতরাং লকডাউন পুরোপুরি তুলে নিলে বা ব্যাপক ছাড় দিলে যে কী পরস্থিতি হতে পারে, তা আন্দাজ করা গিয়েছে মদের দোকান খোলাতেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘ব্যক্তিগত’ মত হিসেবে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি রাখার বিষয়টিও সেটা মাথায় রেখেই বলে মন পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement