— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রানওয়ের কাছে কিছু একটা উড়ছিল। তার পরেই ইম্ফল বিমানবন্দরে বন্ধ রাখা হল উড়ান। তিন ঘণ্টা বসে থাকল তিনটি বিমান। সে সময় অবতরণের জন্য বিমানবন্দরের দিকে আসছিল দু’টি বিমান। সেই দু’টির অভিমুখ ঘুরিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হল। এই কারণে বিপাকে পড়েন প্রায় হাজার জন যাত্রী।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়ের কাছে আকাশে অপরিচিত কিছু একটা উড়তে দেখা যায়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) এবং রানওয়েতে তখন যাঁরা ছিলেন, তাঁদের চোখে পড়েছিল একটি ড্রোন। দুপুর ২টো নাগাদ এই কাণ্ড। এর পরেই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের বিমানবন্দরে বন্ধ রাখা হয় উড়ান, অবতরণ। এয়ার ইন্ডিয়ার দু’টি এবং ইন্ডিগোর একটি বিমান তখন ওড়ার কথা ছিল। সেগুলি বসিয়ে রাখা হয়। ওই সময়ে দু’টি বিমান নামার কথা ছিল। সেগুলিও কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করে। রবিবার রাতে সেগুলি ইম্ফলে অবতরণ করবে। এই বিমানবন্দর পাহাড়ে ঘেরা হলেও রাতে বিমান চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে।
একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইম্ফলের বিমানবন্দরটি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দিয়েছিল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। তার পরেই এই বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান ওঠানামার অনুমোদন দেয় বায়ুসেনা। গত মে মাস থেকে দুই জনজাতি কুকি এবং মেইতেইদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। এর মধ্যে প্রতিবেশী মায়ানমারে চিন প্রদেশের বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে জুন্টা বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে ইম্ফল বিমানবন্দরের আকাশে কিছু একটা উড়তে দেখে উদ্বেগ ছড়ায়।
ইম্ফল বিমানবন্দরের ডিরেক্টর চিপেম্মি কেইসিং বিবৃতি দিয়ে জানান, রবিবার দুপুরে রানওয়ের আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছিল। কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্রের পর তিনটি বিমান উড়ানের অনুমতি পায়। ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ একটির পর একটি বিমান গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। যাত্রীরা জানিয়েছেন, বিমানকর্মী এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেছেন। এক মহিলা যাত্রী জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ বিমানের ভিতর অপেক্ষা করার সময় তাঁদের খাবারও দেওয়া হয়েছে।