২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের রাস্তায় প্রকাশ্যে উমেশকে খুন করা হয়। যে ঘটনায় অভিযোগের তির ঘুরেছে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক আতিকের দিকে। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন একদা উত্তরপ্রদেশের ত্রাস গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। উমেশ পাল হত্যার নেপথ্য খলনায়কের ভয়, আগামী ২৮ মার্চ গুজরাত থেকে উত্তরপ্রদেশের আদালতে তাঁকে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়ার পথে কোনও না কোনও ভাবে মৃত্যু হতে পারে তাঁর। সেই মৃত্যু কোনও সাজানো দুর্ঘটনা থেকে হতে পারে, অথবা এনকাউন্টারের জন্যও হতে পারে। আদালতকে এই ভয়ের কথা জানিয়েই একটি আর্জি জানিয়েছেন প্রাণভয়ে ভীত গ্যাংস্টার আতিক। ২৮ মার্চ উমেশ-হত্যার শাস্তি ঘোষণা হওয়ার কথা উত্তরপ্রদেশ আদালতে। আতিকের অনুরোধ, ওইদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই তাঁকে আদালতে হাজির করানোর ব্যবস্থা করা হোক। কারণ জেলের তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক আতিকের বিরুদ্ধে সেই রাজ্যেরই বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পালকে হত্যার অভিযোগ ছিল। ২০০৫ সালের ওই ঘটনায় পরে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী, রাজুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু উমেশকেও অপহরণ করা হয়। পরে উমেশকে ছেড়ে দিলেও গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হন উমেশ। শেষ পর্যন্ত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের রাস্তায় প্রকাশ্যে উমেশকে খুন করা হয়। যে ঘটনায় আবার অভিযোগের তির ঘুরেছে আতিকের দিকেই।
আতিক এই মুহূর্তে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দি। তবে উমেশ-হত্যার মামলাটি চলছে উত্তরপ্রদেশের আদালতে। মঙ্গলবার সেখানেই উমেশ-হত্যার মামলায় অপরাধীদের শাস্তি ঘোষণা হওয়ার কথা। সেই শুনানিতেই সশীরের উপস্থিতি থাকার ব্যাপারে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন আতিক।
প্রসঙ্গত, উমেশ হত্যার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভরা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মাফিয়াদের। বলেছিলেন, সমাজবাদী পার্টির স্নেহধন্য মাফিয়াদের শেষ করে ছাড়ব। ঘটনাচক্রে তার পরেই উমেশ হত্যায় বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন যিনি এবং যিনি প্রথম গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের দু’জনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়।
তবে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক তথা গ্যাংস্টার আতিক যা-ই বলুন, রবিবার, উমেশ হত্যার সাজা ঘোষণার দু’দিন আগে থেকেই প্রয়াগরাজ পুলিশের একটি বড় এবং সশস্ত্র দল মোতায়েন করা হয়েছে গুজরাতের সবরমতী জেলের মূল ফটকের বাইরে। আতিক-সহ সমস্ত অপরাধীকেই ওই দিন উত্তরপ্রদেশের আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।