ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস সে দেশে পড়াশোনা করা ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিল। শুক্রবার প্রকাশিত নয়া নির্দেশিকাতেও বলা হয়েছে, দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে ইউক্রেনবাসী ভারতীয় পড়ুয়ারা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ। এই আবহে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়ার সীমান্ত ব্যবহার করে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে তৎপর হয়েছে নয়াদিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ইউক্রেনে আটকে পড়ে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে ওই চার দেশে যাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রকের চারটি দল। সংশ্লিষ্ট চারটি দলের প্রধান সমন্বয়কারীর ফোন নম্বরও দিয়েছেন তিনি। অরিন্দম টুইটারে লিখেছেন, ‘হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়া সংলগ্ন ইউক্রেনের স্থল সীমান্তের কোনও পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছে ইউক্রেনের ভারতীয় নাগরিকরা এই দলগুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।’
ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ‘এআই ১৯৪৭’-কে দিল্লি ফিরতে হয়েছিল মাঝআকাশ থেকেই। কারণ, ভারতের যুদ্ধপরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে সীমান্ত লাগোয়া ‘এয়ার স্পেস’ দিতে অসম্মত হয় যুযুধান দু’দেশই।প্রসঙ্গত, ইউক্রেন আগেই তাদের আকাশসীমা ‘সিল’ করার ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের স্থলসীমান্ত পার করিয়ে ওই চার দেশে এনে বিমানে ভারতে ফেরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস সে দেশে পড়াশোনা করা ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরার ‘পরামর্শ’ জারি করেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত নয়া নির্দেশিকাতেও বলা হয়েছে, দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে ইউক্রেনবাসী ভারতীয় পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, ভারত থেকে প্রতি বছর বহু পড়ুয়া ইউক্রেনে পড়তে যায়। বিশেষত সে দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ার দিকে ঝোঁক রয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। তাঁদের সবাইকে এখনও দেশে ফেরানো যায়নি। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে এখনও ১৮ হাজার ভারতীয় আটকে ইউক্রেনে।