উদ্ধব ঠাকরে।
শরিক কংগ্রেস এবং এনসিপির অস্বস্তি বাড়িয়ে এ বার মহারাষ্ট্রে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) চালুর পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
গত কয়েক দিন ধরেই মহারাষ্ট্রের শাসক জোটে সংঘাতের ছবি প্রকট হচ্ছে। শরদ পওয়ার চাইছেন, এলগার পরিষদ-ভীমা কোরেগাঁও মামলা রাজ্যই তদন্ত করুক, এসআইটি গঠন করে। কিন্তু উদ্ধব তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছেন। উদ্ধব আজ অবশ্য জানিয়েছেন, এলগার পরিষদ ও ভীমা কোরেগাঁও মামলা দুটি ভিন্ন। কেন্দ্র এলগার পরিষদের মামলা হাতে নিয়েছে, ভীমা কোরেগাঁও নয়। এই নিয়ে মতান্তর চলার মধ্যেই উদ্ধব এনপিআর নিয়ে অস্বস্তি বাড়ালেন।
কংগ্রেস নেতৃত্ব আগেই স্থির করেছেন, তাঁদের শাসিত রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), এনপিআর ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)— তিনটিরই বিরোধ করা হবে। এই মুহূর্তে জনগণনার সঙ্গে এনপিআর-এর প্রক্রিয়াও শুরু করতে বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু কংগ্রেস ও তাদের সহযোগী অনেক দলই মনে করে, এনপিআর আসলে এনআরসি-রই প্রথম ধাপ। ফলে সেটিকেই এখন রোখা উচিত। কিন্তু উদ্ধব আজ বলেন, সিএএ এবং এনআরসি দুটি আলাদা বিষয়। এনপিআরও আলাদা। যদি সিএএ চালু হয়, তাহলে কারও দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। এনপিআর অনেকটা জনগণনার মতোই। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। তবে রাজ্যে এনআরসি চালু করা হবে না।
উদ্ধবের অবস্থান দেখে কংগ্রেস-এনসিপি শিবিরের আশঙ্কা, বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেও তাদের হাতেই তামাক খাচ্ছেন না তো উদ্ধব? সরকারের প্রথম ছয় মাস কেটে গেলে আবার বিজেপির সঙ্গেই সরকার গড়ার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছেন না তো? উদ্ধবের ঘোষণার পরেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের নেতা কমল নাথ জানিয়ে দেন, তাঁর রাজ্যে এনপিআর রূপায়ণ করা হবে না। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান ও উদ্ধব সরকারেরই মন্ত্রী বালাসাহেব থোরাট বলেন, ‘‘সিএএ-এনপিআর বিরোধিতা নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট। বিষয়টি বোঝানো হবে শরিকদের।’’
মুখ খোলেন শরদ পওয়ারও, যাঁর সক্রিয়তার ফলেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া সম্ভব হয়েছে তিন দলের। তিনিও বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিজস্ব মত থাকতে পারে। তবে এই সরকারে অনেক শরিক রয়েছে। বাকিরা এই প্রক্রিয়ার বিরোধী। সব শরিক মিলে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’’