মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।—ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র সরকারের শাসক জোটের ফাটল বোজাতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাহুল উদ্ধবকে আশ্বাস দিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে জোট সরকারে কংগ্রেস পুরোপুরি শিবসেনার সঙ্গে রয়েছে। সূত্রের খবর, উদ্ধবও রাহুলকে বলেছেন, সরকারে ছোট শরিক হলেও কংগ্রেস সমান গুরুত্ব পাচ্ছে।
এই ঐক্যের ভাব বজায় রাখতে আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী মুম্বইয়ে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। বৈঠকের পরে শিবসেনা নেতারা দাবি করেন, উদ্ধব-সরকারের প্রতি এনসিপি, কংগ্রেসের মতো শরিকরা ক্ষুব্ধ, এটা বিজেপির মিথ্যে প্রচার। মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের সামনে কোনও বিপদ নেই।
মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের দিকে ব্যর্থতার আঙুল তুলেছে বিজেপি। তার মধ্যেই কার্যত কংগ্রেসের দায় ঝেড়ে ফেলে মঙ্গলবার রাহুল জানিয়ে দেন, তাঁরা মহারাষ্ট্র সরকারের নীতি নির্ধারক নন, শুধুই সমর্থক। এর পরেই জোট সরকারের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কংগ্রেসের নেতারা মুখে যুক্তি দেন, রাহুলের মন্তব্য বিকৃত করে বিজেপি অপপ্রচার করছে। কিন্তু জোটে কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অসন্তোষও ধামাচাপা থাকেনি। পরিস্থিতি সামলাতে প্রথমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাহুলের সঙ্গে উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরের কথা হয় বলে সূত্রের খবর। এর পর বুধবার সকালে উদ্ধব রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন। রাহুল তাঁকে বলেন, সমস্যা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। তিনি বরং দাবি করেছেন, কেন্দ্র রাজ্যকে আরও
সাহায্য করুক। এর পর বিকেলে মুম্বইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উদ্ধব কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রী বালাসাহেব খোরাট, এনসিপি-র নেতা ও মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল, শিবসেনার মন্ত্রী অনিল পরব-সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি নেতা নারায়ণ রাণে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছিলেন। শিবসেনার যুক্তি, রাজ্যপালের উচিত এ সব নেতাদের ধমক দেওয়া।