অবনী-কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে এ বার বাঘের হামলায় জোড়া মৃত্য়ু মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে। ফাইল চিত্র।
‘মানুষখেকো’ অবনীর স্মৃতি আবার উস্কে দিল চন্দ্রপুর। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের তাড়োবা-অন্ধেরী ব্যাঘ্রপ্রকল্প লাগোয়া ওই অঞ্চলে বাঘের ২টি হামলায় বুধবার ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ওই ঘটনাকে ‘মানুষখেকো বাঘের হানা’ বলে চিহ্নিত করেনি মহারাষ্ট্র বন দফতর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথম ঘটনাটি সাওলি ব্লকের রুদ্রপুর গ্রামের। বুধবার ভোরে সেখানে এক বৃদ্ধ কৃষক ক্ষেতে কাজ করার সময় হামলার শিকার হন। বাঘ তাঁকে টেনে নিয়ে যায় জঙ্গলে। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ঘটনাটি কিছুটা দূরে মৌল ব্লকের কাঁটাপেঠ গ্রামের। সেখানে বাঘের আক্রমণে এক পশুচারণকারীর মৃত্যু হয়।
চন্দ্রপুর বনাঞ্চলের মুখ্য বনপাল (সিসিএফ) প্রকাশ লোনকার জানিয়েছেন, এই নিয়ে চলতি বছরে ওই অঞ্চলে মোট বন্যপ্রাণীর হামলায় ৪৯ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই বাঘের হানার শিকার। প্রসঙ্গত, ৪ বছর আগে মহারাষ্ট্রের যবতমল জেলার পনঢারকাওড়া এলাকায় গত ২ বছরে ১৩ জন মানুষকে ‘খুনের’ অভিযোগ উঠেছিল অবনী নামে (সাঙ্কেতিক নাম টি-১) বাঘিনির বিরুদ্ধে। এই এলাকার লাগোয়া টিপেশ্বর ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে দশ মাসের দু’টো ছানা নিয়ে থাকত সে। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় ‘মানুষখেকো’ ঘোষিত বাঘিনি অবনীকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল।