— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। তাদের গুলিতে নিহত পাঁচ লস্কর জঙ্গি। কুপওয়ারা জেলার মাছিলের নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই ঘটনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে বাহিনীর গুলিতে দুই জঙ্গি প্রাণ হারায়। পরে মৃত্যু হয় আরও তিন জনের। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতেরা লস্কর-এ-তইবার সদস্য। মাছিলের নিয়ন্ত্রণ রেখায় এখনও গোলাগুলি চলছে।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে সেনাবাহিনীর চিনার কোর জানিয়েছে, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে ২৬ অক্টোবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছে, দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। পুলিশের ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, কুপওয়ারা পুলিশের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে মাছাল সেক্টরে এনকাউন্টার শুরু করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এখন ১৬টি ‘লঞ্চিং প্যাড’ সক্রিয় রয়েছে, যেখান দিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে জঙ্গিরা। বুধবার এই অনুপ্রবেশ রোখার জন্য শ্রীনগরে ১৫ কোরের সদর দফতরে বৈঠকে বসেন পুলিশ এবং সেনার শীর্ষকর্তারা। এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, স্থানীয়দের জঙ্গিদলে নাম লেখানোর প্রবণতা একেবারেই কমে গিয়েছে। সে কারণে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। তা কী ভাবে রোখা হবে, সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, শীতকালে বরফঢাকা নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ একপ্রকার অসম্ভব। সে কারণে প্রতি বছর শীতের শুরুতে জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এ দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। গত এক মাসে ছ’বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। তার মধ্যে তিন বারই হয়েছে উরির হাথলাঙ্গার কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে। প্রতিবারই অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছে সেনাবাহিনী। চলতি বছর কাশ্মীরে নিহত হয়েছে ৪৬ জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে ৩৭ জন পাকিস্তানি। বাকি ন’জন স্থানীয় বাসিন্দা।