প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
গোটা দেশের ছাত্রদের কাছে ‘প্রেরণা’র কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছোটবেলার স্কুল। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেক জেলা থেকে দু’জন করে ছাত্রকে বাছাই করা হবে গুজরাতের বড়নগর জেলায় মোদীর স্কুল পরিদর্শনের জন্য। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, আগামী বছরের মধ্যে মোট ৭৫০টি জেলার প্রত্যেকটি থেকে দু’জন করে ছাত্র মোদীজীর জন্মস্থান বড়নগরের প্রাথমিক স্কুলে সফর করবে। এটা তাদের শিক্ষামূলক ভ্রমণ বলে বিবেচিত হবে। এই দেড় হাজার পড়ুয়াকে মোট ৫০ সপ্তাহের ‘প্রেরণা’ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ‘দেশে শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন’ বলে কয়েক দিন আগেও কটাক্ষ করেছেন। এ বার কেন্দ্রের পরিকল্পনা, সেই মোদীর স্কুলই হবে ভারতের দেশভক্তি এবং নৈতিকতার পাঠের প্রাণকেন্দ্র। আগের শতকের এই স্কুলটিকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে। সূত্রের দাবি, ‘প্রেরণা’র মূল লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের মধ্যে দেশভক্তি এবং নৈতিকতা জাগানো, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতকে বিশ্বের প্রাঙ্গণে উচ্চতর আসনে প্রতিষ্ঠা করেছেন এ দাবি করে সরকারি সূত্রের বক্তব্য, খুবই সাধারণ পরিবার থেকে দেশের শীর্ষ স্থানে উত্থানের পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে যাত্রা, তার থেকে অনেকেই অনুপ্রেরণা পান। আর সে কারণেই তাঁর স্কুলকে ঘিরে কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রেরণা’। এই স্কুল থেকেই মোদী তাঁর প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছিলেন। মোদীর স্কুল সফরের জন্য কী ভাবে ছাত্র বাছাই হবে, তা এখনও সরকার চূড়ান্ত করেনি। অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই সফর। প্রতি পর্বে সর্বোচ্চ ৩০ জন ছাত্রকে নেওয়া হবে। পড়ুয়াদের যাতায়াত ও থাকার খরচ সংস্কৃতি মন্ত্রক বহন করবে বলে জানানো হয়েছে।