প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কাজিরাঙায় বছরের প্রথম গন্ডার হত্যার ঘটনা ঘটেছিল গত ২২ জানুয়ারি রাতে। এক শিকারি ধরা পড়ার পরে জানা গেল একটি নয়, দু’টি গন্ডার মেরেছিল তারা! ব্যবহার করেছিল একে-৫৬ রাইফেল! এ ভাবে একই সঙ্গে কাজিরাঙায় শিকারিদের হাতে দু’টি গন্ডার হত্যার ঘটনা বিরল। ঘটনার চার দিনের মাথায় এক শিকারিকে ধরল পুলিশ। উদ্ধার হল একটি খড়্গ ও একে সিরিজ়ের রাইফেল।
এসপি রাজেন সিংহ জানান, ২২ জানুয়ারি অগরাতলির মাকলুং বন শিবিরের কাছে একটি স্ত্রী গন্ডারের খড়্গহীন দেহ মিলেছিল। ঘটনাস্থল থেকে একে সিরিজ়ের রাইফেলের খালি কার্তুজ মেলে। কমান্ডো, স্পেশাল পুলিশ, গন্ডার সুরক্ষা বাহিনী মিলিয়ে পাঁচটি দলকে তদন্তে নামায় পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে জগু পেগু নামে এক জনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে জানা যায়, মণিপুরের সেনাপতি জেলা থেকে চূড়াচাঁদপুর হয়ে মিজ়োরামের আইজ়ল, অসমের শিলচর, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর দিয়ে অসমের দেরগাঁওতে পৌঁছেছিল শিকারি। সম্ভবত সে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। গত ২১ জানুয়ারি রাতেই সে জোড়া গন্ডার শিকার করে। গত কাল জগুকে নিয়ে অপরাধ পুনর্নির্মাণের সময় প্রথম গন্ডারটির দেহ যেখানে মিলেছিল, তার ১ কিলোমিটারের মধ্যে আরও এক পুরুষ গন্ডারের খড়্গহীন দেহ উদ্ধার হয়।
জগু জানায়, ওই মণিপুরি শিকারি ২২ জানুয়ারি বাসে ডিমাপুর চলে যায়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে জগুর বাড়ির পিছনে পুঁতে রাখা একটি খড়্গ উদ্ধার করে। অন্য খড়্গটি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। শিকারে ব্যবহৃত একে ৫৬ রাইফেল, ম্যাগাজ়িন, ১৩টি গুলি উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে।
২০২২ সালে রাজ্যে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি। গত বছর সংখ্যাটি ছিল ১। শেষ শুমারি অনুযায়ী কাজিরাঙায় এখন ২৬১৩টি গন্ডার রয়েছে।