Missing

১০ দিন আগে ‘নিখোঁজ’ হওয়া অসমের দুই নাবালিকা উদ্ধার মালদহ থেকে, কোথায় ‘পালিয়েছিল’?

পুলিশও দুই নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা দু’জনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায় সেগুলি বেঙ্গালুরুতে রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল, তার পর আর ফেরেনি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ থাকা দুই নাবালিকা অবশেষে বাড়ি ফিরল। তারা নিজে থেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, না কি কেউ তাদের ‘ভুল বুঝিয়ে’ নিয়ে গিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরায় খুশি দুই নাবালিকার পরিবারই।

Advertisement

অসমের জোড়হাটের মারিয়ানি শহরের বাসিন্দা দু’জনেই। এক জনের বয়স ১৫ এবং অন্য জনের ১৬। দু’জনের বাড়ি একই এলাকাতেই। পড়ত একই স্কুলে। স্কুল থেকে ফিরে প্রতি দিনই অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যেত তারা। পরিবার সূত্রে খবর, রোজকার মতো ১২ ফেব্রুয়ারিতেও খেলতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই বন্ধু। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও দু’জন বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের লোকেরা। শুরু করে খোঁজাখুঁজি। রাতভর অপেক্ষা করেও মেয়েদের কোনও খবর না পেয়ে পরের দিন সকালে থানায় ‘নিখোঁজ’ ডায়েরি করেন তাঁরা।

পুলিশও দুই নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা দু’জনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায়, সেগুলি বেঙ্গালুরুতে রয়েছে। পুলিশ সেই সূত্রে খোঁজ শুরু করে। তবে পুলিশ তাদের খোঁজ পাওয়ার আগেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় দুই নাবালিকার।

Advertisement

পরিবার সূত্রে খবর, ফোনেই দুই মেয়েকে বোঝানো হয়। তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে বলে। অনেক চেষ্টার পর তারা ফিরে আসবে বলে জানায় পরিবারের লোকেদের। তার পর ট্রেনে করে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার মালদহ স্টেশন থেকে দু’জনকে উদ্ধার করেন তাঁরা। কেন ওই দুই নাবালিকা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল বা কেউ তাদের নিয়ে গিয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ।

যদিও পরিবারের তরফে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এখনও তাদের মেয়েদের মানসিক অবস্থা ঠিক হয়নি। তাই পুলিশের জেরার মুখে তাদের বসতে দিতে রাজি নন দুই পরিবারের কেউই। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ চাইলে আরও তাড়াতাড়ি মেয়েদের খুঁজে বার করতে পারত। কিন্তু পুলিশ তৎপরতা দেখায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement