প্রতীকী ছবি।
বাগানের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ১০ বছরের এক নাবালকের দেহ। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনায় পুলিশ দু’জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাচ্চা ছেলেটিকে খুন করে বাগানের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
মেঘালয়ের রি-ভোই জেলার উমতিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা ছিল ওই নাবালক। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল সে। বাড়ির লোকেরা খোঁজখবর করেও তার সন্ধান পাননি। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে এক গ্রামবাসী এলাকার এক বাগানের মধ্যে ওই নাবালকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তার পরই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মদের বোতল নিয়ে গ্রামের এক বাসিন্দার সঙ্গে ঝামেলা হয় ওই নাবালকের। সেই ঝামেলার সূত্র ধরেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশ বাঁশন্গাই টাইংসং (২৮) এবং পিনশাইলাং (৩২) নামে দুই ‘অভিযুক্ত’কে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে বাঁশন্গাইয়ের আস্তানাতেই ছিল মৃত নাবালক।
১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে নাবালক বাঁশন্গাইয়ের আস্তানা থেকে একটি মদের বোতল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় বাঁশন্গাই এবং তার দলবল তাড়া করে তাকে। ধরে ফেলে তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, এই মারধরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালকের।
রি-ভোই জেলার পুলিশ সুপার জগপাল সিংহ ধানোয়া সংবাদমাধ্যমে জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যাবেলা মৃতের দেহ গ্রামের এক বাগানে ফেলে দিয়ে আসেন অভিযুক্তেরা। তার পরই তাঁরা এলাকা ছাড়েন সকলে। পরের দিন সকালে এক গ্রামবাসী বাগানের মধ্যে ছেলেটির দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান। তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।