— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবার উত্তপ্ত মণিপুর। মণিপুর পূর্ব জেলায় দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের ওই সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কাঙ্গপোকপি জেলার সীমানার কাছে গোলাগুলি চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজ্য এবং কেন্দ্রের বাহিনী। এক দিন আগেই তেঙ্গনৌপল জেলায় গ্রামের সশস্ত্র রক্ষী এবং বন্দুকবাজদের সংঘর্ষে আহত হন দু’জন। গ্রাম পাহারা দিচ্ছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী রক্ষীরা।
গত বছর ৩ মে থেকে মণিপুরে আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি-জো-সহ বেশ কিছু জনজাতির (যাঁদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। মে মাসের গোড়ায় মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। পরে মণিপুর হাই কোর্ট সেই বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলেও মণিপুর স্বাভাবিক হয়নি এখনও। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১৯ জন মারা গিয়েছেন। ঘরছাড়া প্রায় ৬০ হাজার জন। মণিপুরের ৫৩ শতাংশ বাসিন্দা মেইতেই। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় তাদের বাস। নাগা এবং কুকি জনজাতির মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশ। মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় তাদের বাস।