ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
দিল্লিতে বাড়ি ভেঙে পড়ে প্রাণ হারালেন দু’জন। গুরুতর জখম এক। বুধবার মধ্যরাতে দিল্লির কবীর নগর এলাকায় এই বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে তিন জনকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোতলা বাড়ির উপর তলায় কেউ থাকতেন না। তবে নীচের তলায় জামাকাপড়ের ছিটকাপড় কাটার একটি ছোট কারখানা ছিল। সেখানে কাজ করতেন কয়েক জন শ্রমিক। ঘটনাস্থলে যাওয়া উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান যে, বাড়িটি ভেঙে পড়ার সময় ওই শ্রমিকেরাই এক তলায় ছিলেন। যে তিন জন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরাও কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
নিহত দু’জন হলেন আরশাদ (৩০) এবং তৌহিদ (২০)। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি জয় তিরকে জানিয়েছেন, বছর বাইশের রেহান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়েরা জানান, রাত ২টো ১৬ মিনিট নাগাদ তাঁরা ভারী কিছু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার শব্দ পান। দৌড়ে গিয়ে দেখেন, আস্ত দোতলা বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খবর দেওয়া হয় উদ্ধারকারী দলকে। ভোররাত থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক শাহিদ নামের এক ব্যক্তি। তাঁকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। শাহিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে পুলিশ।
গত রবিবার রাত ১২টা নাগাদ কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মীয়মাণ একটি বহুতল ভেঙে পড়ে। ভগ্নস্তূপে চাপা পড়ে গুঁড়িয়ে যায় আশপাশের কয়েকটি ঝুপড়ি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে প্রোমোটারকে। কিন্তু পুরসভা এবং প্রশাসনের ‘নাকের ডগায়’ কী ভাবে গজিয়ে উঠল এই বহুতল, কার অনুমতিতে, শহরে এমন বহুতল আরও রয়েছে কি না— এই সমস্ত প্রশ্ন ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।