Baba Ramdev

পতঞ্জলির ‘ভুল বোঝানো’ বিজ্ঞাপন: সুপ্রিম-তলবের পরেই কোর্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন রামদেব-সহযোগী

গত মঙ্গলবারই পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় যোগগুরু রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। তার পর বুধবারই হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন রামদেবের সহযোগী বালকৃষ্ণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

বাবা রামদেব। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংস্থার ‘ভুল বিজ্ঞাপন’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইলেন পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তথা যোগগুরু রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। গত মঙ্গলবারই পতঞ্জলির এই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। তার পর বুধবারই হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন রামদেব-সহযোগী। আদালতে জমা দেওয়া ছোট হলফনামায় বালকৃষ্ণ লিখেছেন, “সংস্থার বিজ্ঞাপনে আপত্তিকর বাক্য থাকার জন্য তিনি দুঃখিত।”

Advertisement

আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলিকে নোটিস দিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নোটিসের কোনও জবাব না মেলায় ক্ষুব্ধ হয় আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমান্নুলার বেঞ্চ রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জানায় যে ২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে।

আগের মামলাতেই পতঞ্জলি কর্তৃপক্ষ এবং বালকৃষ্ণকে নোটিস পাঠিয়ে শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হবে না? মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে, “এখনও কেন নোটিসের উত্তর দেননি? আমরা সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে বলছি পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে উপস্থিত থাকতে।”

Advertisement

গত বছরের নভেম্বরে পতঞ্জলিকে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসাবে নিজেদের ওষুধ সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ প্রচার করার বিষয়ে সতর্ক করেছিল শীর্ষ আদালত। জরিমানা হতে পারে বলেও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলাতেই কেন্দ্রের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘‘সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement