UP News

মৃতদেহ থেকে চোখ উধাও! বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার দুই চিকিৎসক

উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায় এক মহিলা আত্মঘাতী হন। তাঁর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। অভিযোগ, ময়নাতদন্তের পর দেহটি যখন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেখানে চোখ ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মৃতদেহ আছে, কিন্তু চোখ নেই! চোখের জায়গায় রয়েছে কেবল শূন্য কোটর। যেন মহিলার দুই চোখই কেউ খুবলে বার করে নিয়েছে। অভিযোগের তির খোদ চিকিৎসকদের দিকেই।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার ঘটনা। মৃত রোগীর চোখ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই চিকিৎসককে। ধৃতেরা হলেন মহম্মদ ওয়াইশ এবং আরিফ হুসেন। তাঁরা দু’জনেই প্রভিনসিয়াল মেডিক্যাল সার্ভিসের চিকিৎসক। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

বদায়ুঁর সিভিল লাইন থানার ইনস্পেক্টর গৌরব বিষ্ণোই জানিয়েছেন, মৃত মহিলার নাম পূজা মৌর্য। সদ্য তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে তিনি আত্মঘাতী হন। গত ১০ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই মহিলার।

Advertisement

তাঁর দেহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানান, মর্গ থেকে ফেরানো দেহে চোখ ছিল না। মৃতের দুই চোখই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেখা যায়। মৃতের পরিবার এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, তিন জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ওই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। সেই সময়েই দু’টি চোখ সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান।

যদি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের তরফে এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের আগেই মহিলার দেহে চোখ ছিল না। কিন্তু অহেতুক ঝামেলা এড়াতে সে কথা আর তাঁরা পরিবারকে জানাননি। চিকিৎসকদের গ্রেফতারিতে মেডিক্যাল কলেজে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বাকি চিকিৎসকেরা পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement