নিহত দুষ্কৃতী রমেশ এবং বিনোদ। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার গভীর রাতে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ নিহত হলেন দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছেন আরও দুই দুষ্কৃতী। মৃত দুই দুষ্কৃতী হলেন রমেশ (৩৫) এবং ছোটা বিনোদ (৩২)।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে শহরের গুরুভানচেরি এলাকায় ইনস্পেক্টর মুরুগাসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি এসইউভিতে করে চার দুষ্কৃতী দ্রুত গতিতে যাচ্ছিলেন। গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেন ইনস্পেক্টর মুরুগাসেন। তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কোনও রকমে নিজেকে সরিয়ে নেন মুরুগাসেন। দুষ্কৃতীদের গাড়িটি এর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করানো পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে।
বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামেন। তার পর পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে থাকেন। তাঁদের মধ্যে এক জন ইনস্পেক্টর মুরুগাসেন এবং সাব-ইনস্পেক্টর শিবা গুরুনাথনকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। শুধু তাই-ই নয়, সা-ইনস্পেক্টরের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করতেই তিনি পড়ে যান। নিজেদের বাঁচাতে পাল্টা গুলি চালান ইনস্পেক্টর এবং সাব-ইনস্পেক্টর দু’জনেই। তাঁদের গুলিতে আহত হন রমেশ এবং বিনোদ। তবে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যান আরও দুই দুষ্কৃতী। রমেশ এবং বিনোদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে সাব-ইনসস্পেক্টর গুরুনাথনকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন ছোটা বিনোদ এবং রমেশ। বিনোদের বিরুদ্ধে ১৬টি খুন, ১০টি খুনের চেষ্টা, ১০টি ডাকাতি-সহ ৫০টি মামলা ঝুলছে। রমেশের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা ঝুলছে। বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।