—প্রতীকী ছবি।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে অন্তত ২০ জন মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের এক পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুরপ্রধান-সহ মোট দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি মামলার ভিত্তিতে এই ঘটনায় পুলিশকে বিস্তারিত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান হাই কোর্ট।
সম্প্রতি এক মহিলা রাজস্থানের সিরোহী পুরনিগমের পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র মাভাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। একই অভিযোগ পুরনিগমের প্রাক্তন কমিশনার মহেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। অভিযোগকারিণী জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে মোট ২০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করেন ওই দু’জন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে রাজস্থানের পালি জেলার বাসিন্দা ওই অভিযোগকারিণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর। তার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগ যে, নিগৃহীত মহিলাদের অচৈতন্য করে অত্যাচার চালানো হত। তার পর সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হত। এই ভাবে প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হয় দাবি করেছেন ওই অভিযোগকারিণী।
পুলিশ জানতে পেরেছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করা মহিলারা দূর থেকে সিরোহীতে কাজ করতে আসতেন। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছেই একটি বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁদের যে খাবার দেওয়া হত, তাতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হত। তাঁরা অচেতন হয়ে পড়লে শুরু হত অত্যাচার। এই প্রসঙ্গে পুলিশের ডেপুটি সুপার পরশ চৌধুরী জানান, প্রথমে ওই অভিযোগকারিণী মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে বিচার চেয়ে রাজস্থান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আট জন ‘নিগৃহীতা’। পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।