সাংবাদিক বৈঠকে মানিক সরকার এবং সীতারাম ইয়েচুরি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
ত্রিপুরায় সিপিএমের উপরে হামলা নিয়ে অভিযোগ জানাতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সময় দেওয়া হয়নি বলে আজ সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ তুললেন।
এক সপ্তাহ আগে ত্রিপুরায় সিপিএমের উপরে হামলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সীতারাম ইয়েচুরি তাঁকে চিঠি লিখেছিলেন। হামলার জন্য বিজেপির নেতা-কর্মীদেরই দায়ী করেছিলেন তিনি। সেই চিঠির জবাব তো দূরের কথা, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারই করা হয়নি বলে ইয়েচুরির অভিযোগ। এর পরেই রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নেন ইয়েচুরি, মানিকেরা। মঙ্গল বা বুধবারের মধ্যে যে কোনও এক দিন দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। সেই মতো মানিক আগরতলা থেকে দিল্লিও এসেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি বলে ইয়েচুরি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গত তিন দিন ধরে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমাদের আর্জি পড়ে রয়েছে। কিন্তু সময় মেলেনি।” ফলে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ না পেয়ে বুধবার মানিকবাবুকে আগরতলা ফিরে যেতে হবে।
আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ইয়েচুরি, মানিক অভিযোগ তুলেছেন, ত্রিপুরায় সিপিএমের উপরে বিজেপির যে হামলা চলছে, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়। মানিক বলেন, “ত্রিপুরায় সংবিধান কাজ করছে না। বিরোধী দলের বিধায়কদের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে ১৫ বারের বেশি বাধা দেওয়া হয়েছে।’’
তৃণমূল নেতারাও নিয়মিত বিজেপি ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলছে। মানিক বলেন, “আমরা তৃণমূলের উপরেও হামলার নিন্দা করেছি। এটা ত্রিপুরার সংস্কৃতি নয়।” কিন্তু তৃণমূল যে ভাবে সিপিএমের থেকে রাজ্যের বিরোধী পরিসর কেড়ে নিতে সচেষ্ট, সে প্রশ্নে মানিক বলেন, “যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা এখন ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসছেন।” তৃণমূলের সঙ্গে ত্রিপুরায় সিপিএমের বোঝাপড়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নকে তিনি ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে উড়িয়ে দেন।