বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।
বাংলায় তাঁরা প্রবল যুযুধান প্রতিপক্ষ। তবে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাকে আক্রমণের প্রশ্নে সুর মিলে গেল বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষের! সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য ও ত্রিপুরার বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার কেন ভোটে দাঁড়াননি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন দু’জনেই। কুণালের দাবি, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে তৃণমূলের সরকার হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাসে এক বার করে এখানে এসে দরবার করবেন, পরামর্শ দেবেন।
তৃণমূলের তরফে রবিবার প্রচারে ছিলেন সায়নী ঘোষ, সুস্মিতা দেব, কুণালেরা। যুব নেত্রী সায়নী রামনগরে রোড-শো এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কেন্দ্র টাউন বড়দোয়ালিতে সভা করেছেন। রাজ্যে তৃতীয় দফার প্রচারে এসে আজ, সোমবার বক্সনগরে সভা করার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বা অভিষেকের সভা ছাড়া তৃণমূলের অন্যান্য কর্মসূচিতে অবশ্য চোখে পড়ার মতো ভিড় হচ্ছে না।
বাংলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল এ দিন দাবি করেছেন, ‘‘বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম ও কংগ্রেস (আই)! বাংলায় এরা জোট করে তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করতে চেয়েছিল।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘বিজেপির সরকার ব্যর্থ বলেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে। আর বিরোধী দলের নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ভোটেই দাঁড়াননি। তিনি বুঝে গিয়েছেন, এই সব জোট করে কিছু হবে না। বিজেপির প্রকৃত বিকল্প আমরাই।’’ এই সূত্রে তাঁর দাবি, তৃণমূলের সরকার হলে ভূমিপুত্র কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন আর সচিবালয়ের সঙ্গে মাসে এক বার এসে বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী।
বাংলা থেকে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও এ দিন কদমতলা, ধর্মনগর, ধনপুরে একাধিক সভা করেছেন। কলকাতায় সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে হবে বলে বাঁধারঘাটে সন্ধ্যার কর্মসূচি না করে ফিরেও গিয়েছেন। বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করে শুভেন্দুও বলেছেন, ‘‘এত দিন লড়াই ছিল। হঠাৎ এত ভালবাসা কীসের যে, জোট করতে হল? বিজেপির ভয়ে? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (মানিক সরকার) তো বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ সবের মধ্যে নেই! ভোটেই দাঁড়াননি!’’ ত্রিপুরায় প্রচারে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালও। আগরতলায় এ দিন রোড-শো করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।