বাদল চৌধুরী
প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীর জামিন নাকচ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরেও তাঁকে খুঁজে বার করতে ব্যর্থ ‘প্রেসিডেন্ট কালার্স’ পদকপ্রাপ্ত ত্রিপুরার পুলিশ। যে কারণে পরের পর নেমে আসছে শাস্তির খাঁড়া। পুলিশ কার্যত তটস্থ। আজও পুলিশের এক কর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গত ১৬ তারিখ রাতে জামিন নাকচ হওয়ার পরেই আত্মগোপন করেন বাদলবাবু। এর পর থেকে প্রায় শতাধিক জায়গায় হন্যে হয়ে খোঁজ করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে বাম জমানার পর্যটনমন্ত্রী রতন ভৌমিকের উদয়পুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ-আধাসেনার বিশাল বাহিনী। আজ সকালে দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমায় বাদলবাবুর পৈত্রিক বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাড়িতে তখন তাঁর দাদা-বৌদি ছাড়া কেউ ছিলেন না। বাদলবাবুর আইনজীবীদের বাড়ির সামনেও দিনভর নজরদারি ছিল পুলিশের। এমনকি আইনজীবীদের গাড়িতে, মানুষের বাড়ির বক্স খাট ও ওয়াশিং মেশিনের ভেতরেও তল্লাশি চালানো হয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে হাসিঠাট্টা।
রাজ্য সরকার গত ১৭ তারিখ থেকেই পুলিশ-কর্তাদের সাসপেন্ড ও বদলি শুরু করেছিল ব্যর্থতার দায়ে। এতে সমগ্র প্রক্রিয়াটি পুনর্বিবেচনা করার জন্যে পুলিশের ডিজির নেতৃত্বে রাজ্যের আইপিএস সংগঠনের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তার পরে গত কালও বিভিন্ন পদের পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই ধারা বজায় রেখে আজ পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদমর্যাদার এক আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই মামলার আর এক অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিককে আজ ফের আদালতে তোলা হয়। তাঁকে পাঁচ দিন পুলিশের হেফাজেত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর বাড়িতে আজ সকালে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে টাকার রসিদ, বিভিন্ন দলিল, ব্যাঙ্কের পাসবই-সহ বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পূর্ত দফতরের অফিস থেকেও বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
বাদল-অনুসন্ধানে সমস্যা বাড়ছে অন্য দিকে। ওই কাজে আগরতলা লাগোয়া বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন থানায় অন্য তদন্ত বা এলাকায় নজরদারি কমে গিয়েছে।