Congress

Congress: ইস্তফা দিয়েও ফিরলেন ত্রিপুরা কংগ্রেস সভাপতি

সনিয়া গাঁধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা জেনে অজয় কুমার ফোন করেছেন তাঁকে৷ দিল্লি গিয়ে কথা বলতে অনুরোধ জানান৷

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২১ ০৮:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

বড় ধাক্কা আপাতত সামলে নিল ত্রিপুরা কংগ্রেস৷ সকালে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে একপ্রস্ত কথাবার্তা সেরেও নিয়েছিলেন পীযূষকান্তি বিশ্বাস৷ বিকালে জানান, নতুন পর্যবেক্ষকের অনুরোধে এখনই অবসরে যাওয়া হচ্ছে না৷ দু’দিন আগে ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অজয় কুমার৷

Advertisement

পীযূষকান্তির দাবি, সনিয়া গাঁধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা জেনে অজয় কুমার ফোন করেছেন তাঁকে৷ দিল্লি গিয়ে কথা বলতে অনুরোধ জানান৷ সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করাবেন বলেও কথা দেন অজয়৷ হঠাৎ কেন ইস্তফা দিয়েছিলেন? বিশেষ কিছু বলতে চাইলেন না দেড় বছরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস৷ সকালে তিনি বলেছিলেন, ‘‘কিছু দিন অবসর নিতে চাইছি৷ রাজনীতি থেকে অবসর৷’’ বিকালে বললেন, ‘‘কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ তো ছাড়তে চাইনি।’’ তবে তিনি যে কংগ্রেস ছাড়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন, তা ইঙ্গিতে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি বলেন, ‘‘পীযূষদা সকালেই আমায় ফোন করেছেন৷ ত্রিপুরার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে৷ দেড় বছরে তাঁকে কমিটি করতে দেওয়া হয়নি৷ এক সদস্যের কমিটিতে দল চালিয়েছেন৷’’ সুস্মিতা নিজেই বলেন, ‘‘আমি তাঁকে বলেছি, আপনাকে তৃণমূলে আসতে বলছি না৷ কিন্তু বেইজ্জত হয়ে যেন কংগ্রেস ছাড়তে না হয়৷’’ পীযূষ অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইলেন না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৯-র ডিসেম্বরে ইস্তফা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মণ৷ তখনই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় প্রবীণ আইনজীবী পীযূষকান্তি বিশ্বাসকে৷ সেই থেকে এক সদস্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি৷ নেই কোনও জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি৷ এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন পীযূষকান্তি বিশ্বাস৷

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement