Tripura Assembly Election 2023

সিপিএমের মানিক এবং বিজেপির বিপ্লব, ত্রিপুরায় দু’জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই হারল তাঁদের দল

ত্রিপুরার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকার এবং বিজেপির বিপ্লব দেবের পুরনো আসনে এ বার হেরেছে তাঁদের দল। মানিকের ধনপুরে জিতেছে বিজেপি। বিপ্লবের বনমালীপুরে জিতেছে কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৬
Share:

ত্রিপুরায় ‘প্রত্যাখ্যাত’ দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

মিল রয়েছে তিনটি জায়গায়। প্রথমত, তাঁরা দু’জনেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয়, দু’জনের কেউই এ বার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হননি। তিন, দু’জনের পুরনো বিধানসভা আসনেই এ বার হেরেছে তাঁদের দল।

Advertisement

প্রথম জন ত্রিপুরার দু’দশকের (১৯৯৮ থেকে ২০১৮) মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকার। দ্বিতীয় জন চার বছরের (২০১৮-২০২২) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। মানিকের পুরনো আসন ধনপুরে এ বার জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক। বিপ্লবের বনমালীপুরে ওই কেন্দ্রেরই আর এক প্রাক্তন বিধায়ক, কংগ্রেসের গোপাল রায় জয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ, দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই তাঁদের দল আর তাদের আসনগুলি ধরে রাখতে পারেনি। এই ফলাফলের ‘দায়’ দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উপর বর্তায় কি না, সে তর্ক এবং জল্পনা থাকতেই পারে। কিন্তু বিষয়টি দু’টি দলের কাছেই খানিক ‘বিড়ম্বনা’র।

২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে পদ্ম-ঝড়ে ২৫ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটলেও ধনপুরে ৬ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন সিপিএমের মানিক। পেয়েছিলেন সাড়ে ৫৪ শতাংশেরও বেশি ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রতিমা পেয়েছিলেন ৪১.২ শতাংশ ভোট। এ বার সেখানে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা ত্রিপুরা (পশ্চিম) কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা। সিপিএম সাড়ে ৩৪ এবং তিপ্রা মথা ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

Advertisement

আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের পুরনো কেন্দ্র আগরতলা শহরের বনমালীপুরে হেরেছেন ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের গোপাল রায়। গোপাল ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা তিনটি বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ভোটে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবশ্য জামানত হারিয়েছিলেন গোপাল। সিপিএমকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব। যে ভোট জয়ের পর তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া।

তবে বিপ্লবের বিভিন্ন কাজকর্মে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব একটা ‘সন্তুষ্ট’ ছিলেন না বলেই খবর। বিধানসভা ভোটের ১০ মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই সূত্রেই বিপ্লবের কাজ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের ‘অসন্তুষ্টি’র খবর আরও আলোচিত হতে থাকে। বিপ্লবকে বিধানসভায় এ বার টিকিটও দেয়নি বিজেপি। এ বারের বিধানসভা ভোটে বনমালীপুরে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন গোপাল। বিপ্লবের বদলি প্রার্থী বিজেপির রাজীবের ঝুলিতে গিয়েছে ৪৫.৬ শতাংশ ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ২ শতাংশ।

ভোটে না লড়লেও এ বার নিজেদের পুরনো কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে নেমেছিলেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক এবং বিজেপির বিপ্লব। ফল বলছে, দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দেননি একদা তাঁদের কেন্দ্রের ভোটারেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement